আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

সংগীতশিল্পী পুতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ

সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১, সকাল ০৯:০৭

ডেস্ক: দেশের পরিচিত সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল। কানাডা প্রবাসী ইসলাম নুরুলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ২০ মার্চ। কিন্তু কী থেকে কি হয়েছে- তার সংসারে ভাঙন ধরেছে। গত কয়েক দিন ধরে এমন কথাই শোনা যাচ্ছে মিডিয়ার অলিতে-গলিতে। গণমাধ্যমের কাছে বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করতে চাননি এ ক্লোজআপ তারকা। তার ভাষায়, ‘ব্যক্তিগত বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে আমি কোনো স্টেটমেন্ট দিতে চাই না। আর যেহেতু আমি এই বিষয়ে সরাসরি কিছু বলছি না, সেহেতু আমি চাই না যে এটা নিয়ে নিউজ হোক।’ তবে গত রোববার (১৪ মার্চ) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন বৈবাহিক জীবনে বিভিন্ন কথা। সাজিয়া সুলতানা পুতুলের দেওয়া স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- দুই বছর আগে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম, ঢুকেছিলাম যুগল জীবনযাপনে। বিবাহিত জীবনের খুব অল্প দিনের মাথায় বুঝেছিলাম পথটা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এই পথটা ঠিক যেন আমার কল্পনার সেই পথটা নয়, যে পথে আনন্দে হেঁটে নেয়া যায় অক্লেশে। মত আর আদর্শিক পার্থক্যগুলো নিছক পার্থক্য থেকে রূপ নিচ্ছিল চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে। সম্পর্ক মুমূর্ষু হচ্ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল আমার সৃষ্টিশীল সত্তা। বিচ্ছিন্নতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখনই। হয়েছিল বিচ্ছেদ। অতঃপর আবার আমার সেই একক জীবনে ফেরা, সুর আর সাহিত্যের সাথে নির্বিঘ্ন একক সংসার। বিয়েটা ঘটা করে হবার বিষয়, বিচ্ছেদে ঘটা করার কিছু নেই। বিচ্ছেদে বিষাদের সুর বাজে আত্মায়। সেই সুর মন পাড়াতে একলা বাজা-ই ভালো। সকলকে নিয়ে সেই বিচ্ছেদী সুর উদযাপনের কিছু নেই। কিন্তু চূড়ান্ত সত্য এই, সেই বিষাদে কোথাও মুক্তির গন্ধ মিশে থাকে, থাকে মুমূর্ষুতার অবসানে লম্বা করে নিশ্বাস নেয়া। জীবনটা বেঁচে ওঠার সুযোগ পায় আরো একবার। সেই জীবনটাকে বাঁচিয়ে দেয়া জীবনের প্রতিই সুবিচার বলে বিশ্বাস করি। আজ এতো দিন পর এই কথাগুলো বলার একটাই কারণ। সম্পর্কটার ভেতরে থাকলে যৌথ জীবন উদযাপনের দুই বছর হতো আজ। যেহেতু একক জীবনযাপন করছি, এই দিনটার কোনো বিশেষত্ব বা মহিমা নেই। বছরের অন্য দিনগুলোর মতোই একটা তারিখ মাত্র। শুভেচ্ছা শুভকামনা জানানোর কিছু নেই। জীবন সহজ হবার স্বপ্নে যেমনি শুভকামনা জানাই নিজেকে নিজে প্রতিদিন, আজও তা জানাচ্ছি। ফেসবুক যতোই স্মৃতিতে ফেরাতে চাক দুই বছর আগের আজকের দিনে, নিজের কাছে নিজের প্রত্যয় কেবলই সামনে তাকানোর। মঙ্গল হোক সবার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied