বুধবার (৩১ মার্চ) সরেজমিনে নগরীর গুপ্তপাড়া, মুলাটল, কলেজপাড়া, মুন্সিপাড়া, জুম্মাপাড়া,শ্যামলী লেন, ডিসির মোড়, কামাল কাছনা, ধর্মদাস, কোর্ট পাড়া এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, দফায় দফায় স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও মিলছে না প্রতিকার। মাঝের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন থেকে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও মশার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না।
নগরীর ধর্মদাস এলাকার শাউমুন জোবায়ের শাকিন বলেন,শীতের প্রকোপ শেষ হতেই মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। মশা নিয়ে খুব ভয়ে আছি। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। অনিয়মিতভাবে ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়ানো সম্ভব নয়।
নগরীর সুরভি উদ্যানে ঘুরতে আসা আফ্রিদা জাহিন বলেন, মশার যন্ত্রণায় কোথাও দাঁড়িয়ে বা বসে কথা বলা যায় না।মশার কামড়ে বাড়িতে অতিষ্ঠ অবস্থা, বাইরে বের হয়েও মুক্তি নেই।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সহকারী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, নগরীর মশা নিধনে গত ১০ মার্চ থেকে দশটি ফগার মেশিন দিয়ে দ্বিতীয় দফায় মশা নিধন শুরু হয়েছে।আরও দুই মাস মশার উপদ্রব থাকবে। এ সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালানো হবে। তিনি আরও জানান, কেবল ফগার মেশিনের ধোঁয়া দিয়ে মশা নিধন পুরোপুরি হয় না। তাই সিটি মেয়রের নির্দেশে এবার হ্যান্ড স্প্রের সাহায্যে কীটনাশক ছিটিয়ে আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পর ফগার মেশিনের ধোঁয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।