বৃহস্পতিবার (৮এপ্রিল) ভোরে থেমে থেমে এ শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ভুট্টাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
শিলাবৃষ্টিতে তিস্তা চরাঞ্চলের হাজার হাজার বসত-বাড়িসহ জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এই শিলাবৃষ্টিতে বসত-বাড়িসহ বিভিন্ন ফসলী জমি হয়। এছাড়ার আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা বসত-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাট সদরসহ ৫ উপজেলায় হঠাৎ শিলা বৃষ্টি আরম্ভ হয়। তবে শিলা বৃষ্টির পরিমাপ বেশি ছিল কালীগঞ্জের কাকিনায়। এ সময় ওই এলাকার বিভিন্ন ফসলী জমিসহ গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে লোকালয়ের বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
কৃষকরা জানান, ইতিমধ্যেই ধানের চারা লাগানো হয়েছে। এমনকি ভুট্টার মোচা বের হয়েছে। এমন সময় এ শিলাখণ্ডের আঘাত পাওয়ায় ধানসহ ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া সদ্য লাগানো সবুজ শাক সসবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিলাবৃষ্টি কারণে উপজেলার হাজার হাজার বসত-বাড়ির ঘরের উপরের টিন ফুটা হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভুট্টা,তামাক ও ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
কাকিনার কৃষক জানান, বেশির ভাগ বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গেছে। এ ছাড়া ও এলাকার ভুট্টা,তামাকসহ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, ভয়াবহ এ শিলাবৃষ্টিতে বসত বাড়িসহ বিভিন্ন ফসলী ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করতে বলা হয়েছে। তারা তালিকা দিলে সহযোগিতা করা হবে।