হাসান আল সাকিব: রমজান উপলক্ষে টিসিবির খোলাবাজারে দ্বিতীয় ধাপে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল। এর মধ্যে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন।আর লকডাউনে আয়–রোজগার কমেছে নিম্নবিত্ত মানুষের। তার মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি।তাই সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য দামে কিনতে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ট্রাকসেলে বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।তবে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা একেবারে নেই বললেই চলে।
রবিবার (১১ এপ্রিল)বেলা ১টার দিকে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড়,শাপলা চত্ত্বর,জাহাজ কোম্পানি,কাচারি বাজার ঘুরে টিসিবি ট্রাক সেলের এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।এসময় ক্রেতাদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। তবে কেউই সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন না। গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।অনেক ক্রেতার মুখে মাস্ক ছিলো না।
নগরীর নুরপুর এলাকার জোবায়ের হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন,‘বাজারে তেল চিনির দাম অনেক বেশি। এখানে কিছুটা সাশ্রয় কেনা যাচ্ছে। ফলে লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি।
লাইনে দাড়িয়ে থাকা আরেক ক্রেতা আলামিন মিয়া বলেন,নিত্যপণ্য বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।তাই ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে এখানে দাড়ানো।তিনি আরও বলেন,কে আগে কিনতে পারে সবাই সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত।ফলে সামাজিক দূরুত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
মর্ডান মোড় এলাকায় নাম প্রকাশে অইচ্ছুক এক টিসিবির ডিলার জানান,মাস্ক না থাকলে পণ্য দেওয়া হচ্ছে না।তবে একাধিকবার বলেও সামাজিক দুরুত্ব মানছেন না ক্রেতারা।তিনি আরও জানান,সকালে একটু ভিড় কম থাকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন বেড়ে যায়।তখন সবাই পণ্য কিনতে এক প্রকার প্রতিযোগীতা শুরু করে, ফলে কেউ আর সামাজিক দুরুত্ব মানে না।
রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল ইসলাম মৃধা জানান,টিসিবির ট্রাক সেলে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রত্যেক ডিলারকে নির্দেশনা দেয়া আছে। স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের অভিযানের সময় টিসিবির ট্রাক সেল গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।