কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কওমি নূরানি ও হাফেজি মাদরাসার ৭ বছরের এক শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করা সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক আবু সাইদ, পাথরডুবি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক আবু সাইদকে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে পুলিশ বাদী হয়ে ২০১৩ সালে শিশু আইনের ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, কুড়িগ্রামের কিসমত-কুলসুম কওমি নূরানি ও হাফেজি মাদরাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে অমানবিক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে একটি ভিডিও ৩ দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের শিক্ষক আবু সাইদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ নেই। তবে শিশু আইনে যে কেউ বাদী হতে পারে। এ কারণে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
জিএম
উল্লেখ্য, নির্ধারিত বাড়ির কাজ না লিখে অন্য লেখা লিখে জমা দেয়ার অপরাধে ১৯ এপ্রিল অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কর্তৃক মাদরাসার ৭ বছরের এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পারেন। একই দিন বিকেলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার করেন।