মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেড হাউজে সদ্য ভুমিষ্ট দুটি জমজ শিশুর লাশ দুদিন ধরে পড়ে আছে কেউ লাশ নিতে আসেনি। মৃত শিশু দুটির কে বাবা মা তা নিশ্চিত হতে পারছেনা হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পুলিশও জমজ দুটি শিশুর মৃত দেহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
রংপুর মহানগর কোতয়ালী থানার এস আই মামুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত ২২ এপ্রিল ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে সদ্য ভুমিষ্ট দুটি জমজ শিশু গুরতর অসুস্থ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা, মোস্তফা অসুস্থ জমজ দুই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতালের ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে। জমজ শিশু দুটির বাবা বলে পরিচয় দেয় বাবু নামে এক ব্যাক্তি তার বাড়ি রংপুরের পীরগজ্ঞে বলে জানায়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টারে শিশু দুটির বাবার নাম বাবু পিতা মানিক বাড়ি পীরগজ্ঞ উপজেলা জেলা রংপুর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে জমজ শিশু দুটি চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় ওই দিন দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে মারা যায়। এরপর থেকে মৃত শিশু দুটির কোন স্বজন না আসায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ শিশু দুটিকে হাসপাতালের ডেড হাউজে রাখে। দুদিন ধরে শিশু দুটির কোন স্বজন মরদেহ নিতে না আসায় বিষয়টি কোতয়ালী থানাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে এস আই মামুনুর রমীদ হাসপাতালে এসে রেজিষ্টার দেখে শিশু দুটির স্বজনদের কোন ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় তারাও হতাশ হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে এস আই মামুনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জমজ শিশুটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যে নাম ঠিকানা দিয়েছে সেখানে গ্রামের নাম উল্লেখ করেনি। এমনকি কোন ফোন নম্বরও দেয়নি। ফলে বাবু নামে কাউকেই খুজে বের করা কোন ভাবে সম্ভব নয়।
এস আই মামুন জানান শিশুদুটির শনিবার ময়না তদন্ত শেষে কোন অভিভাবক না পেলে আজ্ঞুমানে মফিুদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।