আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ● ৪ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

রংপুরের সদ্যপুষ্করিনীতে দু:স্থদের ভিজিডের চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১, দুপুর ০২:৩০

নিজস্ব প্রতিনিধি: রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নে হতদরিদ্র-দুঃস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি চালের কার্ড নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযােগ উঠেছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দপ্তর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক,ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবী, ছাদপিটা বাড়ি কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের পরিবারের কারাে নামে কার্ত ইস্যু করার কোনাে বিধান নাই। তবু দুই শতাধিক দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন প্রভাবশালীরা। যারা জমিজমা থাকার পরেও প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুলে নিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অসহায়- দুঃস্থরা। সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ভিজিডির তালিকায় থাকা ৩২ নং ডিজিডি কার্ডধারী স্থানীয় পশু চিকিৎসক একরামুল হক তার ছাদপিটা বাড়ি আছে তবু স্ত্রীর নামে ভিজিডির চাল তােলেন। ভিজিডির চাল পাওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে পশু চিকিৎসক একরামুল দাবি করে বলেন,আগে চাকরি করতাম, এখন ঔষুধ এর দোকান আছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে বলছিলাম আমার স্ত্রী শিরিনা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার জন্য। তারপর তিনি আমার বউ এর নামে একটি ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছে। তালিকায় ৮ নং ডিজিডির কার্ডধারী সায়মা খাতুন বলেন, আমি ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ইস্যুকৃত কার্ড থেকে ভিজিডির চাল পাই। আমার স্বামীর দুইটা ট্র্যাক্টর আছে। কিন্তু তবু আমরা স্বচ্ছল নই তাই মেম্বারকে বলার পর তিনি আমাকে একটা ভিজিডির কার্ড করে নিয়েছেন। ৪ নং ভিজিডি কার্ডধারী শ্রীমতি জোসনা রানী জানান,তার স্বামী জমি আবাদ করে।এবার জমি থেকে ২৫ মন ধান পেয়েছে,তাই ভিজিডির চাল প্রয়োজন হয় না।তাই ইউপি চেয়ারম্যান তাকে যে ভিজিডি কার্ড দিয়েছে। তিনি সেই ভিজিডি কার্ডটি প্রতিবেশী সোবহানের কাছে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,তালিকায় ৩৬ নং ভিজিডি কার্ডধারী দক্ষিণ অযােদ্ধাপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম নিসবেতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজর সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রীর ফরিদা পারভীনের নামে ভিজিডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষক তাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি চেয়ারম্যানের ভোট করেছি,তাই তিনি নিজ ইচ্ছায় তার স্ত্রীর নামে একটি ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছে। এদিকে ভিজিডি কার্ডের সব অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান সােহেল রানা বলেন, যখন ভিজিডির বরাদ্দ বন্ঠন হয় তখন নির্বাচন চলছিল। এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। রংপুর সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা হেলেন জানান, কোনাে জনপ্রতিনিধি অথবা সরকারি কর্মচারী তার নামে ভিজিডিসহ এ ধরনের কার্ড ইস্যু করার নিয়ম নেই।অনলাইনে জনগণ আবেদন করার পর চেয়ারম্যান নিজে তালিকা থেকে দুঃস্থ ব্যক্তি চিহ্নিত করেছেন। এর পর আমাদেরকে ভিজিডির কার্ড তৈরি করতে বলা হলে আমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকা তৈরী করি। সেই তালিকা দিয়ে আমরা ভিজিডি কার্ড প্রদান করি। তবে আমাদের কাছে যদি লিখিত অভিযােগ আসে তাহলে আমরা সেই কার্ড বাতিল করে দিবাে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি ইসরাত সাদিয়া সুমি জানান, সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়ন থেকে আমার কাছে অভিযােগ এসেছে। আমি এই বিষয়ে তদন্ত করে ঢাকায় রিপাের্ট পাঠাবাে এবং সত্যিকার অর্থে কোন স্বজ্জনপ্রীতি হলে অব্যশই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা জামান বৰি জানান, ইউনিয়ন কমিটি যাছাই বাছাই করে তালিকা তৈরী করা উচিৎ ছিলাে। কিন্তু শিক্ষক, ঢাকুরিজীবি, ব্যবসায়ীরা ভিজিডি কার্ড পেলে এটা আসলেই অন্যায়। যাদের ৫শতকের উপরে জমি আছে তারা কখনােই ভিজিডির কা পাওয়ার যােগ্য নয় এবং চাকুরীজীবীদের তাে প্রশ্নই ওঠে না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied