আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

নীলফামারীতে প্রখর সূর্যতাপে ধান-খড় শুকানোর হিরিক

সোমবার, ২৪ মে ২০২১, দুপুর ০৪:২৮

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ চলছে তাপদাহ, ভ্যাপসা গরমে অস্থির জনজীবন। প্রখর এই সূর্যতাপে নীলফামারীর বিভিন্ন সড়কে হিরিক পড়েছে ধান-খড় শুকানোর কাজের। এতেকরে সড়ক পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। আজ সোমবার(২৪ মে/২০২১) দুপুরে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক ধরে জেলা সদরের চাঁদেরহাট যাওয়ার পথে দেখা গেছে গোটা সড়কজুড়ে ধান ও খড় শুকানোর কাজ চলতে। ওই সড়কেই চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। সড়কে এসব কাজ চলায় বিপত্তিতে পড়েছে বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। ধীর গতিকে চলাচল করতেও ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। এমন চিত্র শুধু ওই সড়কেরই নয়। জেলার বিভিন্ন সড়কের একই চিত্র। যানবাহনের পরিবর্তে সড়ক দখল করে কৃষকরা ব্যস্ত এসব কাজে। নিরাপদ সড়ক চাই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল আমিন বলেন, ‘এই সময়টাতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সড়কে। অধিকাংশ সড়কজুড়ে ধান, খড় শুকানো হচ্ছে। ধান মাড়াইর কাজও চলছে সড়কে। এতে করে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে আবার দূর্ঘটনাও ঘটছে। আমি মনে করি আইনের পাশাপাশি জনসচেতনতাও সৃষ্টি করা প্রয়োজন।’ জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা গ্রামের কৃষক ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় (৬৫) বলেন,‘এবার ১৫ শতক জমিতে ধান আবাদ করেছি। ধান কাড়া-মাড়াই শেষ হয়েছে। প্রখর রোদ থাকায় গত তিনদিন ধরে পাকা সড়কে ধান ও খড় শুকিয়ে নিচ্ছি।’ তিনি বলেন,‘স্থান সংকটে যানবাহনের ঝুঁকির মধ্যেও সড়কে এসেছি। প্রচুর তাপ থাকায় দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রখর তাপদাহে এসব কাজ করতে গিয়ে আমার পাতলা পায়খানা শুরু হলে স্যালাইন খেয়ে কাজ করছি। কারণ রোদ চলে গেলে পরে আর সুযোগ পাবো না।’ এই গ্রামের আবুল হোসেন (৫২) বলেন,‘এবারে ফলনও ভালো হয়েছে। ধান পাকার সময়ে বৃষ্টি না থাকায় খড়েরও দাম পাওয়া যাচ্ছে। একারণে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কৃষক ধান ও খড় শুকানোর কাজে উঠেপড়ে লেগেছে।’ কৃষকরা সুবিধার কথা বললেও বিপত্তির কথা জানালেন ওই সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচলকারীরা। জেলা শহরের সুমন ইসলাম (৩৫) বলেন,‘সোমবার দুপুরে জরুরী কাজে জলঢাকা যাচ্ছিলাম আমি। আধা ঘন্টার ওই পথ পাড়ি দিতে আমার সময় লেগেছে এক ঘন্টা। এরপরও অতি সাবধানে ওই পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।’ ট্রাক চালক আমির আলী (৪৫) বলেন,‘সড়কে ধান, খড় শুকানোর কাজের জন্য চলাচলের গতি থেমে গেছে। প্রায় সময়ে নানা দূর্ঘটননা ঘটছে। ধান-খড়ের কারণে জরুরী ব্রেক ধরতে গিয়ে চাকা পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা যাচ্ছে না। যারা ধান খড় শুকানোর কাজে থাকেন তাদের বেশির ভাগই সতর্ক থাকেন না। এতে করে প্রায় সময়ে ছোটখাটো দূর্ঘটনাও ঘটছে।’ এ বিষয়ে নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, ‘কৃষকরা সড়কের ওপর অস্থায়ীভাবে ধান খড় শুকাচ্ছেন। আমাদের সব কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে যাতে মানুষ সড়কে এসব না করেন সেজন্য উদ্বুদ্ধ করতে। দুর্ঘটনা এড়াতে সবার আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied