মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই (১.৪) উইকেট হারান দেশের দুই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। মাত্র ১৫ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম-সাকিব।
এরপর ৩৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার লিটন কুমার দাস। মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে ১০ রান করে আউট মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৮৪ রানে তামিম, সাকিব, লিটন, মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৮৭ রানের জুটিতে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ।
৪ উইকেটে ১৬১ রান করা বাংলাদেশ এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪১), আফিফ হোসেন (১০) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (০) উইকেট নেই।
নয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং শুরু করতেই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে ২৩ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ফের খেলা শুরু হয়ে এক ওভার দুই বল মাঠে গড়াতেই শুরু হয় আবারো বৃষ্টি।
দ্বিতীয়বার যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। বৃষ্টির পর ৩৪ মিনিট পর খেলা শুরু হলে সেঞ্চুরি করতে বেশি সময় নেননি তিনি। দুস্মন্ত চামিরাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১১৪তম বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান মুশফিক।
দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে সেঞ্চুরির পর মারকাটিং ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি সাইফউদ্দিন, শরিফুলরা। মুশফিক সেঞ্চুরি করার পর রান আউট হয়ে ফেরেন সাইফউদ্দিন। তার আগে তিনি করেন ৩০ বলে ১১ রান। শূন্য রানে ফেরেন শরিফুল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ১২ বল খেলতে পারেননি মুশফিক। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। তার আগে ১২৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে করেন ১২৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ওভারে ২৪৬/১০ (মুশফিক ১২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, লিটন ২৫)।