রামেক হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ছিলেন। অন্য তিনজনের বাড়ি রাজশাহী। গতকাল সকালে হাসপাতালে রাজশাহীর ১২২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২০ জন, নাটোরের ১৪ জন, নওগাঁর ২৪ জন, পাবনার পাঁচজন এবং কুষ্টিয়ার একজন রোগী ভর্তি ছিলেন। ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ১৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আটজন, নাটোরের দুজন ও পাবনার একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন ও নাটোরের একজন রোগী ছিলেন। এদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন এবং নাটোরের একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। এরও আগে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে সাতজনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্য পাঁচজন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। করোনা পজিটিভে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়িই ছিল রাজশাহী। আর দুজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
হাসপাতালে ভর্তির চিত্রে দেখা যায়- রাজশাহীর রোগীই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলায় ৩৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯৫ জনই শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহীতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন। এর বাইরে নওগাঁয় ৫৯ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে ১০ জন, বগুড়ায় ২৭ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন এবং পাবনায় ছয়জন শনাক্ত হয়েছেন। আগের দিনও রাজশাহীতেই শনাক্ত ছিল সবচেয়ে বেশি।
জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. চিন্ময় কান্তি বলেন, শুধু মৃত্যুই নয়, রাজশাহীতে আক্রান্তের হারও যথেষ্ট ভয় ও শঙ্কার। র্যাপিড অ্যান্টিজেন, আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট মিলে রাজশাহীতে আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ।