রোববার (২৭ জুন) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৬ জুন) বিভাগের আট জেলার ১ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হওয়া ৪৪৭ জনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ১২০, কুড়িগ্রামের ৮৫, রংপুর ৭৮, দিনাজপুরের ৬৩, গাইবান্ধার ৪২, লালমনিরহাটের ২৩, পঞ্চগড়ের ১৮ ও নীলফামারীর ১৮ জন। একই সময়ে বিভাগের বুড়িমারী ও হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও ৬ জন দেশে ফিরেছেন।
বর্তমানে দিনাজপুুর জেলায় করোনাভাইরাসে ৮ হাজার ১০ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৮ জনে রয়েছে। রংপুর জেলায় ৫ হাজার ৭৫০ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। ঠাকুরগাঁও জেলায় ২ হাজার ৯৫৯ জন আক্রান্ত ও ৭৪ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ২ হাজার ৬ জন আক্রান্ত ও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৭৭৫ জন আক্রান্ত ও ৩৮ জনের মৃত্যু, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৬৬০ জন আক্রান্ত ও ২৭ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ৩৬৬ জন আক্রান্ত ও ২৩ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ৯৮৪ জন আক্রান্ত ও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে শনিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৪ হাজার ৫২০ জন শনাক্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৩৯২ জন। মারা গেছেন ৪৯৫ জন।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।