বৃহস্পতিবার ১১টায় শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশের লোটো শো-রুমের পেছনে মিলির নিজ বাড়ির গলি থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শান্তনার ছেলে রাহুল সকালে ওই গোলীতে তার মায়ের মরদেহ পরে থাকতে দেখে ৯৯৯ এ খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত শান্তনা রায়ের স্বামী সমীর কুমার রায় পঞ্চগড় চিনিকলের একজন চাকুরিজীবী। শহরের লোটো জুতার দোকানের শো রূমের মালিক তিনি। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুই সন্তানেরই বিয়ে হয়ে গেছে। মিলির এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে সিআইডি, পিবিআই ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
নিহত মিলির স্বামী সমীর কুমার রায় জানান, রাতে খেলা দেখে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তাদের ছেলে রাহুল জানান, রাত ১১ টায়ও তিনি শেষ কথা বলেছেন মায়ের সাথে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পেছনে মিলির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি পুলিশে ফোন করেন।
মিলির স্বামী সমীর জানায়, মিলি মৃত্যুর আগে বাসার ডায়েরিতে তার রোগাক্রান্তের কথা উল্লেখ্য করে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় বলে লিখে গিয়েছে। তবে প্রতিবেশিরা তার এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যু মানতে পারছেন না ।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃতদেহটি আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছেনা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুলতানা রাজিয়া বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মিলির মোবাইল ফোন ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।