স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(৮ জুলাই/২০২১) রাত ৯টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যা সৃস্টি করেছে। ভারতের দোমহনীতে তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে সতর্কাবস্থায় রযেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উজানের ঢলের কারনে তিস্তা নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭ ইউনিয়ন, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানান, তিস্তা ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ছোটখাতা বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল নিয়ে নিরাপদে সরে গেছে। এতে করে প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, পরিস্থিতি ভালো না। উজানের ঢল প্রচন্ডভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। রাতে পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়া বেশকিছু গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। মইনুল হক আরও জানান, তার এলাকার চরখড়িবাড়ি মৌজাটি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানকার স্বেচ্ছাশ্রম বাধটি এখন হুমকীর মুখে। সেখানে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেক দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে চরখড়িবাড়ি মৌজার ২ হাজার পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে যাবে।
খালিশা চাঁপানীর ছোটখাতা গ্রামে তিস্তার পানি প্রবেশ করে অসংখ্য বসতভিটার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করছে বলে জানালেন খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।