এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০জুন মেয়ে শিশুটির মা সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহনের চর নিজ বাড়ী থেকে একই উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের দক্ষিণ সিতাইঝাড়ে পিত্রালয়ে বেড়াতে যান। সেখানে অবস্থানকালিন সময়ে শুক্রবার(৯জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে নির্যাতিতা শিশুটি তার চাচাতো ভাই জাহিদসহ (৯) বাড়ীর উঠানে খেলছিল। এসময় প্রতিবেশি আব্বাস মিয়ার পূত্র সাইদ হাসান জিফু লুকোচুরি খেলার কথা বলে তাদেরকে জোড়পূর্বক পাশর্^বর্তী ভেলুরবাজার নুরাণি মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে খেলার কথা বলে মেয়ে শিশুটির উপর শ্লীলতাহাণির ঘটনা ঘটায় কিশোর সাইদ হাসান জিফু। এতে মেয়েটির আর্তচিৎকারে তার চাচাতো ভাই জাহিদ এগিয়ে আসলে তাকে ধাক্কা মেরে সড়িয়ে দেয় জিফু। পরে জাহিদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে জিফু পালিয়ে যায়। পরদিন ১০ তারিখে নির্যাতিতা শিশুটিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা যাতে না হয় এজন্য জিফুর পরিবার নির্যাতিতা পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।
রোববার (১১ জুলাই) সকালে মামলা হলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম মর্ত্তুজার নেতৃত্বে এসআই সোহরাব, এসআই জিয়াসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কিশোর জিফুকে তার বাড়ী থেকে আটক করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতা শিশুটির বাবা ঢাকায় রিক্সা চালায়। এসময় শিশুটি নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হয়। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।