শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে নগরীর উত্তর মুনশিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাবেয়া বেগম ওই এলাকার মৃত ইকরামুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নিঃসন্তান ইকরামুল ইসলাম ও রাবেয়া বেগম দম্পতি পাবনা থেকে মাত্র এক বছর বয়সী রাকিবকে দত্তক নিয়ে আসেন। রাবেয়ার বাবার বাড়ি পাবনায়। পেশায় মাংস ব্যবসায়ী স্বামী ইকরামুল ইসলাম দুই বছর আগে মারা গেছেন। রাকিব মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও অনেকবার অমানবিকভাবে মারপিট করলেও নিঃসন্তান বিধবা রাবেয়া বেগম তাকে নিয়ে একা ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।
শনিবার রাতে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখায় রাবেয়া বেগমকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে দত্তক ছেলে রাকিব। রাবেয়া বেগমের আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশী অনেকেই ওই বাড়িতে এগিয়ে আসে। সেখানে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন রাবেয়া বেগম। লোকজনের উপস্থিতিতেও ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে তার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে রাকিব। তাকে থামানোর আগেই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারাণ রাবেয়া বেগম। এ সময় প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্য রাকিব চিৎকার করে বলছিল, মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখায় নিজে তার মাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্রিকেটের ব্যাটসহ রাকিবকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক এরশাদ আলী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রাবেয়া বেগমের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।