আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

দিনাজপুরে চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১, দুপুর ০৪:৪৩

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুরে চামড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন,মৌসুদি চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়ার আড়তদারসহ সব মহলেই চলছে,চামড়া নিয়ে হতাশা। উত্তরের এই সীমান্ত জেলায় পানির দামের চেয়ে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে, কোরবানির পশুর চামড়া। যথাযথ তদারকির অভাবে এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চামড়ার বাজারে বড় ধরনের দর পতন ঘটেছে বলে অভিযোগ চামড়া ব্যবসায়ীদের। রংপুর বিভাগের সবচেয়ে বড় চামড়ার মার্কেট দিনাজপুরের রামনগরে। এই মার্কেটে শতাধিক আড়তদার চামড়া কিনে ঢাকায় পাঠায় । এই মার্কেটে শুধুমাত্র কোরবানীতে নয়,প্রতিদিনই চামড়ার কেনা-বেচা হয়। রামনগর চামড়া মার্কেটে আমদানী প্রচুর হয়েছে। কিন্তু,নেই দাম। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মৌসুমি ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। যারা কিছুটা লাভের আশায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে বেশি মূল্যে চামড়া কিনেছেন তারা। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মনসুর আলী জানালেন,তিনি এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন। বাড়ারে এক লাখ টাকার অধিক মূল্যের গরু’র চামড়া বিক্রি হচ্ছে,সাড়ে ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা। আর ছোট গরু’র চামড়া দেড়’শ থেকে দুই শত টাকা। ১০/১২ হাজার টাকা মূল্যের ছাগলের চামড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা। অথচ, কেনা বেশি মূল্যে হওয়ায় লোকসানে পড়েছি,আমরা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বাজারের চিত্র ভিন্ন হওয়ায় তাদেরকে লোকসানে পড়তে হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আড়তদার মালিকদের কোন হাত নেই বলে জানিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা। কারণ,চামড়ার দাম বেধে না দেওয়া,দাম কম,ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা না পাওয়ায় তারা নিজেই আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে জানালে,চামড়ার আড়দার স্বপন। স্বপন জানান,উপকরণের (লবন) দাম বেশি হওয়ায় তারা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ করতেও ভয় পাচ্ছি, আমরা। আর প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া চামড়া রাখা সম্ভব নয়। চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছি বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন চামড়া পার্শবর্তীদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার। চামড়া আড়তদা মোকসেদুর রহমান জানালেন,বর্তমানে যে চামড়া আসছে সেটা লবণ ছাড়া, তাই এ চামড়ার দামও কম। কারণ প্রতিটা চামড়ার জন্য আরও ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ করতে হবে প্রসেসিংয়ে জন্য। এজন্য ব্যবসায়ীরা চামড়ার গুণগত মান দেখে চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন। এতে প্রতিটি চামড়ার দাম গড়ে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা পড়ছে। গতবছরও এই দামে বিক্রি হয়েছে। চামড়া প্রসেসিংয়ের পরে রাজধানী ঢাকার ট্যানারিগুলোতে পাঠিয়ে দেবেন আড়তদাররা। স্থানীয় চামড়া আড়তদারার বলছেন,দাম কমের জন্য মুলত ট্যানারি মালিকরা দায়ী। ব্যবসায়ীরা রাজধানীর ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় এবার তেমন সুবিধা করতে পারছেনা।এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাজারে দাম না থাকায় পাশ্ববর্তী ভারতে চামড়া পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু.নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উবর্ধন কর্মকর্তা জানালেন,চামড়া পাচারের কোন আশংকাই নেই এবার। প্রশাসন সীমান্ত কঠোরদারিতে রেখেছেন। কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য দাবি জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়দারেরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied