একাধিক সুত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই লিটন মিয়া যৌতুকের জন্য স্ত্রী লাকি আক্তারের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। নির্যাতন সইতে না পেরে এক সময় সেনা ইউনিটে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান লাকি। এতে লিটন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে লাকিকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন লিটন তার স্ত্রী লাকিকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ভগ্নিপতি উপজেলার যাদুরচর নতুনগ্রামের (দিগলাপাড়া) জাবেদ আলীর বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর থেকে লাকির কোনো খোঁজ না পেয়ে ২ জুলাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তদন্তকালে পুলিশ জাবেদ আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে একটি ওড়না, ম্যাক্সি ও অন্য একটি জামা উদ্ধার করে পুলিশ, যা লাকি আক্তারের বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তারা লাকিকে জীবিত অবস্থায় ফেরত না পাওয়া গেলে তার লাশ ফেরতসহ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, কিছু কাপড়চোপড় আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তবে সেগুলো লাকির কিনা শনাক্ত করা যায়নি। লিটন মিয়াকে স্ত্রীকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।