আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবদুল মান্নান জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং দেশের বাইরে উজানেও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এ মাসের শেষ পর্যন্ত একইভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পরবর্তী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। পরের ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থা প্রায় একই ধরনের থাকতে পারে। এ সময় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজারহাটে সর্বোচ্চ ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৯০, কুতুবদিয়ায় ৬৯, রাঙ্গামাটি ৫৫, নেত্রকোনায় ৪৮, চুয়াডাঙ্গা ৪৭, চট্টগ্রাম ৩৬, নিকলি ২৮, দিনাজপুরে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুধবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।