সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে ওই শিশুটির শারিরিক পরিক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বলৎকারের শিকার ওই শিশুর বাবা রোববার রাতে তার ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় রাজনগড় এলাকার তমিজ উদ্দীন নামে এক ব্যাক্তির সাথে কথাবার্তা বলেন। পরে তমিজ উদ্দীন জানান, তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে ক্যাডেট কলেজে পড়ালেখা করে চাকুরী করছে। তিনিও সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেছেন। পরে তমিজ ওই শিশুটিকে দেখতে চান। শিশুটির বাবা পঞ্চগড়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শিশুটিকে নিয়ে এসে তমিজ উদ্দীনকে দেখালে তিনি জানান, শিশুটির শারিরিক অবস্থা বেশ মোটা হওয়ায় চাঞ্চ পাওয়ার সুযোগ নেই বলেন। এ অবস্থায় তাকে ক্যাডেটে ভর্তি করানো যাবেনা। তিনি শিশুটির বাবাকে আরো জানান, তাকে ভর্তি হতে হলে ব্যায়াম করতে হবে। তিনি শিশুটিকে তাদের বাসায় গিয়ে ব্যায়াম শিখিয়ে দিবেন। শিশুটির মা বাসায় না থাকায় তমিজ উদ্দীনকে নিজ বাসায় নিয়ে যেতে রাজি হয়নি শিশুটির বাবা। অভিযুক্ত শিশুটির বাবাকে জানান, আজকেই শিশুটিকে দেখে যেতে হবে। পরে তমিজ উদ্দীন শিশুটিকে নিয়ে তাদের বাসায় চলে যান। রাতে শিশুটির মা বাবার বাড়ি থেকে ফিরে তাকে কান্নাকাটি করতে দেখলে তিনি শিশুটির কাছে কান্নার কারণ জানতে চান। পরে শিশুটি তার মাকে বিস্তারিত খুলে বলে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবাকে বিস্তারিত জানালে তিনি রাতেই শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিতক করেন জানান, লিখিত অভিযোগের প্রক্ষিতে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভির রাতে তাকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া তমিজ উদ্দীনের বাড়ি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভূতিপুকুর এলাকায়। এ ঘটনায় বলৎকারের শিকার ওই শিশুর বাবা রোববার রাতেই পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।