মমিনুল ইসলাম রিপন: বন্যার পানিতে তিস্তা ফিরে পেয়েছে যৌবন। চারদিকে উতাল পাতাল ঢেউ। স্রোত আর ঘূর্ণিপাকে খেলা করছে জলরাশি। সেই পানিভরা তিস্তা নদীতে টানা ৪৬ কিলোমিটার সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন রাব্বী রহমান। এজন্য তিনি সময় নিয়েছেন মাত্র ৫ ঘন্টা ৩৮ মিনিট ছাব্বিশ সেকেন্ড।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন রাব্বী রহমান। সেখান থেকে ৪৬ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর মহিপুরে পৌঁছান বগুড়ার দশম শ্রেণি পড়ুয়া এই সাঁতারু।
রাব্বী রহমান গত বছর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ৪০ জন সাঁতারুকে পিছনে ফেলে প্রথম হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন। এবার তিস্তা জয়ে আনন্দিত এই কিশোর বলেন, আমার স্বপ্ন বিশ্বসেরা সাঁতারু হবার। এ জন্য নিজেকে তৈরি করতে আমি চেষ্টা করছি। ইচ্ছে আছে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরার।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে শেখ কামাল তিস্তা সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন জেলার ১৫ জন দক্ষ নারী-পুরুষ সাঁতারু অংশ নেন।
সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৪৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর মহিপুরপ্রান্তে এসে পৌঁছায় সাঁতারুরা। সেখানে তাদেরকে হাজার হাজার মানুষ অভিবাদন জানিয়ে বরণ করে নেন। এসময় তিস্তা নদীর দুইপাড়ে ছিলো উৎসুক জনতার ভিড়।
পরে প্রতিযোগিতার সমাপণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক রসিক) আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারীর ডালিয়া পওর বিভাগের (বাপাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা, রংপুর বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুল ইসলাম, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু। সভাপতিত্ব করে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম রব্বানী।