স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় গোলমুন্ডা ফাজিল মাদরাসায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নাশকতা মামলার আসামি গোলমুন্ডা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির তোজাম্মেল হোসাইনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃস্টি করেছে। বৃহস্পতিবার(৩০ সেপ্টেম্বর/২০২১) বিকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে থেকে জামায়াত নেতার নিয়োগ বাতিলের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে জলঢাকা উপজেলা ছাত্রলীগ।
উপজেলা ছাত্রলীগ বিকালে একটি বিােভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদণি করে জিরোপয়েন্ট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদি'র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, পৌর যুবলীগের আহবায়ক নজমুল কবির মুকুল, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লাভলুর রশীদ, যুবলীগ নেতা, আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, আশিকুর রহমান মানিক, আনজির খাজা, শিবলী নোমান, সেলিম রেজা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নীলফামারী ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা' এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালিন গোলমুন্ডা ফাজিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে তার নিজের শ্যালক মোতাক্কেল বিল্লাহ দায়িত্ব দেন। সেই থেকে তার শ্যালক ওই মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি পদে রয়েই গেছে। অভিযোগ মতে শ্যালক দুলাভাই মিলে ওই জামায়াত নেতাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা স্বাধীনতার স্বপরে মানুষ এই নিয়োগের প্রতিবাদ করছি ও তা বাতিলের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এই নিয়োগ বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এসময় উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ স¤পাদক শাহিনুর রহমান ও জেলা মৎস্যজীবি লীগের নেতা কুলো চন্দ্র রায় ছাত্রলীগের কর্মসুচিতে একত্বতা ঘোষনা করেন।