গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পবা থানার চৌবাড়িয়া এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী এবং এ চক্রের মূলহোতা নার্গিস নাহার হেলেনা (৫২), বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে বাপ্পী (৩২) এবং পঞ্চবটি এলাকার রানার স্ত্রী কোহিনুর রাত্রী (৪৩)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরীর অলোকার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় চক্রের মূলহোতা নার্গিস নাহার হেলেনাকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে কোহিনুর ও বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, প্রেমের ফাঁদ পেতে বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজনকে কৌশলে বাসায় নিয়ে গিয়ে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি তোলে। এরপর সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো এই চক্রটি। এই চক্রের প্রতারণার শিকার হলেও নিজেদের সম্মান, পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ার ভয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন না।
আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে কৌশলে সুলতানাবাদ এলাকার একটি বাসা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি তোলে। এরপর তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ১৮ হাজার টাকা নেয়। এরপর ২০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যের বিকাশ নম্বর দেয়। প্রতারণার শিকার ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং এই চক্রের সন্ধান পায়।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নার্গিস এই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। ইতিপূর্বে এ চক্রের অনেকেই গ্রেফতার হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় নার্গিস। সে নারীদের ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে লোকজনকে জিম্মি করতো। সর্বশেষ তিনি কোহিনুরকে তিন হাজার টাকায় ভাড়া করে নিয়ে যায়।