হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, কাউয়া চত্বর এলাকায় বসবাসরত স্বামী সুমন মিয়া গত কয়েকদিন থেকে স্ত্রী হাসি বেগমকে দেহব্যবসা করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে স্বামী সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঁচের গ্লাস ভেঙে স্ত্রী হাসি বেগমের পেটে ও বাম চোখে আঘাত করে। পরে তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তার পেটে ৭টি সেলাই ও বাম চোখের নিচে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এব্যাপারে হাসি বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার স্বামী নেশা করার জন্য তার কাছে প্রতিদিন এক হাজার করে টাকা চায়। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে দেহব্যবসা করতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় সুমন মিয়া ও তার ছোট ভাই সজল মিয়া তাকে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। তিনি আরও জানান, তার বাবা-মা এমনকি নিকট আত্মীয়-স্বজনও নেই। আমার এই অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়ে প্রায়ই সে নির্যাতন করতো। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসি বেগমের পেটে ৭টি সেলাই ও বাম চোখের নিচে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।