আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

হিমাদ্রিরা কখনই বিচার পায় না

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৪, দুপুর ০২:৪৪

আজ দুই বছর তার পরিবার বিচার চেয়ে রাষ্ট্রের আইন ,পুলিশ, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে–পদে পদে টাকা খরচ করেও তারা কোন বিচার পাচ্ছেন না। কারণ, যারা মামলার আসামী, তারা শহরের পরিচিত সম্ভ্রান্ত গুন্ডা- রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা এখন আওয়ামী আমলে আওয়ামী লীগের এর ছত্র ছায়ায় আছেন। বিএনপি আসলে তাদের ছায়াও পাবেন। পুলিশ তাদের টিকিটাও ছুবেনা, কোর্টেও তাদের বিরুদ্ধে মামলার ডেট পেছাতে থাকবে। কারণ হয়ত আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির নয় সেন্ট্রাল কমিটিতে তাদের বন্ধুরা জায়গামত ধরে রেখেছেন বিচার – হয়তো এসপি সাহেবকেও বলা আছে হয়রানি না করতে , যে জজ সাহেবের কোর্টে তিনিও হয়তো অবগত আছেন – বলে দিয়েছে অমুক ভাই বা তমুক এপিএস ।

কোর্ট এখন টাকার দাস, পুলিশ চলে রাজনীতিবিদদের কথায় । ফলে, আমরা এখন যে কোন বিপদে কোর্ট এর বদলে রাজনীতিবিদদের কাছে ছুটে যাই এবং যার কানেক্সানের জোর বেশি, যার ভাই ব্রাদার জায়গা মত আছে, যার বেশি টাকা তাদের ইচ্ছাই এখন পূর্ণ হয়।

আজ তাই রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যখন হিমাদ্রিদের হত্যা করে, তখন তাদের বিচার করার সামর্থ্য কারো নাই। সেই সামর্থ্য অর্জন করতে হলে, অনেক অনেক সাধনা করতে হয় ।

তাই, হিমাদ্রির বাবা মাকে এখন তাদের ছেলের বিচার চাইতে গিয়ে সংখ্যালঘু পরিচয়ের দাবিতে বিচার চাইতে হয় – আওয়ামী লিগ এর আমল –তাই একজন হিন্দু কিশোরের নির্মম হত্যার ঘটনা যদি পেপার পত্রিকায় আসে সরকার এর হয়তো টনক নড়বে- কিন্তু, তাও বিচার আগায় না।

নাগরিক হিমাদ্রিও বিচার পায় না, সংখ্যালঘু হিমাদ্রিও বিচার পায় না। অনেক টাকা খরচ হওয়ার পরেও না। বুকের কষ্ট চেপে তারা মিডিয়ার কাছে যান – হয়তো মেডিয়া আলোড়ন তুললে বিচার হবে। যদি হিমাদ্রিকে ত্বকী বানানো যায় তাহলে হয়তো বামপন্থীরা কথা বলবে, সুশীলরা আলোচনা করবে তাহলেও হয়ত হিমাদ্রির বিচার হবে – যেই বিচার চেয়ে তারা কোর্ট আর পুলিশ প্রশাসনের স্তরে স্তরে টাকা ঢেলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, পারেন না –রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ক্ষমতার সাথে তারা পেরে ওঠেন না।

এমন অবিচার আজ পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, গঞ্জে গঞ্জে – কারো ভাই, কারো সন্তান, কারো জমি,কারো সম্পদ – এই অবিচার আজ প্রতিটা ধুলিকনায়। সবাই আজ খুজছে রাজনৈতিক প্রভাব যাতে, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ক্ষমতার বিনিময়ে তাদের নিজস্ব বিচার পাওয়া যায় বা তাদের বিরুদ্ধে বিচার ঠেকানো যায়।

আজ বিচার বিভাগ বা পুলিশ বলে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এখন সব চেয়ে বড় বিচারক রাজনৈতিক প্রভাব। কিন্তু, এই দেশের ১৬ কোটি মানুষের ১৫ কোটির রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে জন্ম নেয় না। তাই, এই ১৫ কোটি মানুষের প্রতি করা অন্যায় এর কোন বিচার মেলেনা।

হিমাদ্রিকে তাই আমরা ভুলে যেতে দিবোনা – কারণ হিমাদ্রির বিচার চেয়ে তার পরিবার এর লড়াই – সুর আর অসুর এর লড়াই,টাকাওয়ালা সম্ভ্রান্ত গুন্ডার সাথে নাজুক মধ্যবিত্তের লড়াই , ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা রাজনৈতিক এলিট এবং তাদের সাঙ্গ পাঙ্গদের সাথে একজন নাগরিকের লড়াই, একজন সন্তান হারা পরিবার এর সাথে একজন মাদক ব্যবসায়ীর লড়াই ।

এই দেশের আনাচে কানাচে যে অবিচার আর বিচার হীনতা তার সব সমাধান করার সামর্থ্য আমাদের নাই কিন্তু এই একটায় যেন আমরা হল না ছাড়ি । হিমাদ্রির পরিবারকে আমাদের জিতিয়ে আনতেই হবে ।

কারণ, এই এলিট গুন্ডাদের হাতে প্রতিদিন হেরে যাওয়া, মার খাওয়া , লুন্ঠিত হওয়া, বিনস্ট হওয়া নাগরিক হিসেবে আমরা এক বার হলেও জিততে চাই। তাই, নির্মম ভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া এই কোমল কিশোর হিমাদ্রির কথা আমাদের বলতেই হবে, বার বার বলে যেতে হবে।

লেখাটি জিয়া হাসানের ফেসবুক থেকে নেওয়া।

মন্তব্য করুন


 

Link copied