রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৪, বিকাল ০৭:৪৮
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৯ এর ১ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন (৩২) সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমান, অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে বিজ্ঞ বিচারক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী পৌর এলাকার মোহাম্মদ সেলিমের কন্যা মারিয়া মাহমুদা শিমু (১৬) কে নাগেশ্বরী উপজেলার বিদ্যুৎপাড়া গ্রামের আকবর আলীর পূত্র জালাল উদ্দিন গত ২০০৫ সালের ২৯ জুন বিকেলে শিমুর প্রেমিক রাজিবের কাছে পৌছে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বগুড়া শহরে নিয়ে যায়। এরপর বগুড়া শহরের আকবরিয়া হোটেলে জোড়পূর্বক আটকিয়ে রেখে শিমুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবাহ করে জালাল। এরপর এখানে আটকে রেখে ৭দিন ধরে ধর্ষণ করে। পরে শিমুর স্বজনরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাকে হোটেল থেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান আসামী জালাল আদালতে ১৬৪ ধারায় অপহরণ ও জোড়পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে। মামলার দীর্ঘ শুনানীর পর মামলার অপর দুই আসামী বিয়ের কাজী ও সাক্ষীকে অব্যহতি দিয়ে প্রধান আসামী জালালকে ৪৬ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম