আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

কুয়াশা মেঘ-ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তরবঙ্গ

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১২, রাত ১০:২৮

তাহমিন হক ববি: কুয়াশা মেঘ-ঠান্ডায় জবুথবু উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের আট জেলা। উত্তুরী ও পশ্চিমী হাওয়া ঢুকেপড়ায় জনজীবন কে থমকে দিয়েছে। উত্তুরী হাওয়ার তীব্র এতোই বেশী যে তাতে শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও শীত বেশী অনুভুত হচ্ছে। মানুষ শীতে কাঁপছে। ঘনকুয়াশায় রোদ উঠছেনা। ঘন কুয়াশার কারণে গত ৩ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। প্রচণ্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া অফিস সুত্র মতে শুক্রবার দেশের সবচেয়ে তাপমাত্রা কম ছিল দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে একটি বেসরকারি সংস্থার তাপমাত্রা যন্ত্রে ঠাকুরগাঁয়ে তাপমাত্রা সব চেয়ে কম ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  দেশের সর্ব উত্তরে হিমালয়ের হিমগর্ভে অবস্থিত রংপুর বিভাগের আট জেলা নীলফামারী, পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর,রংপুর,লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা। এসব এলাকায় হিমালয়ের শৈত্য প্রবাহ ও রাতের বরফ গলা ঘন কুয়াশায় জনজীবনে সৃষ্টি করেছে অচলাবস্থা।তিস্তাপাড়ের মানুষজন বড়ই কাহিল। গত কয়েক দিন ধরে একটানা উত্তরের হিমেল বাতাসে ঘর থেকে বের হতে পারছে না তারা।

দিকে শৈত্যপ্রবাহ ,ঘন কুয়াশায় শীতের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে এ অঞ্চরের কৃষকদের বড় সমস্যা হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে তারা যেমন মাঠে কাজ করতে পাছেনা তেমনি বোরোর বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের মতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসসিয়াস হলে বোরো বীজতলা কোডইনজুরী মুখে পড়ে ।  পাশাপাশি ঘনকুয়াশার সাথে উত্তুরী হাওয়ায় আলু ,গম,সরিষা ক্ষেতের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে।

ঘন কুয়াশা আর মেঘলা আকাশের কারণে যানবাহনগুলো দিনের বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। রাতের বেলা ঝড় ঝড় করে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সবচেয়ে বেশী সমস্যায় রয়েছে নিন্ম আয়ের মানুষজন। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বাজারে শীতের কাপড়ের মূল্য তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না থাকায় তারা শীত নিবারণের জন্য পুরাতন চট বা বস্তা ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ খড়কুটা জ্বালিয়ে বিনিদ্র রাত্রী যাপন করছে। শীতবস্ত্রের অভাবে দিনের বেলাও আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কষ্টে আছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তারা শীত-জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সন্ধ্যা নামার আগেই রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পরে। সবচেয়ে বেশী শীত পড়েছে পঞ্চগড় জেলায়।

আট জেলায় দ্বিতীয় দফায় সরকারিভাবে ২৪ হাজার  গরম কাপড় বরাদ্দ এসেছে । এর আগে প্রথম দফায় ৩২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বেসরকারী সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। জরুরী ভিত্তিতে অত্র এলাকায় সরকারী ভাবে  আরও শীতবস্ত্র বিতরণের দাবী জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied