আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু      

 width=
 

সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাধা ৫ ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ

রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১২, রাত ১০:০৪

নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মারমুখী হয়ে বাধা দিয়েছে কতিপয় ব্যবসায়ী । রবিবার শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা গোটা শহরের দোকানপাট বন্ধ রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিকেলে ৫ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের ওই এলাকায় ফলের দোকানগুলোতে ফরমালিন নির্দিষ্টকরণ যন্ত্রের সাহায্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় আপেল, চেরিফল ইত্যাদি ফলে অসহনীয় মাত্রায় ফরমালিন ধরা পড়ে। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন অংকে মোট সাড়ে ২৭ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করা হয়। যাদের জরিমানা করা হয়েছে তপন কুমার ১ হাজার, মনির হোসেন ৫ হাজার, দেলোয়ার হোসেন ১ হাজার, মো. ওয়াকিল ২ হাজার, সোহেল রানা ২ হাজার, আরমান ২ হাজার, রঞ্জন সরকার ২ হাজার, আলতাফ হোসেন ১০ হাজার, সুকুমার রায় ১ হাজার, শরীফ ১ হাজার ও মিজানুর রহমানকে ১ হাজার টাকা। ওই এলাকায় মাছের বাজারেও একই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে কোন মাছে ফরমালিনের অস্তিত্ব মেলেনি বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ব্যস্ততম সড়ক দখল করে পণ্য বেচাকেনার অপরাধে বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক আলতাফ হোসেনকে অভিযুক্ত করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হলে ঘটে বিপত্তি। ওই ব্যবসায়ী নিজেকে ব্যবসায়ীক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে দাবি করে তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় তাঁর ইন্ধনে শত শত ব্যবসায়ী তাৎক্ষণিক দোকানপাট বন্ধ করে পথে নেমে আসেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলামের যানবাহন আটকে দেয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সৈয়দপুর বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে সমঝোতায় পৌঁছেন। ফলে ৫ঘন্টা পর বিকেল ৫টায় ব্যবসায়ীরা তাদের বন্ধ দোকানপাট খুলে দেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী।এ ব্যাপারে ইউএনও শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বিষ মেশানো ফল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জব্দকরা ফরমালিন মেশানো ফলমূল ধ্বংস করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied