মহানগর প্রতিনিধি: ভারত কর্তৃক তিস্তার পানি সরিয়ে নিয়ে উত্তরবঙ্গকে মরুভূমি বানানোর চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আজ রবিবার সকাল ১০টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ শেষে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চ শুরু হবে।
পথিমধ্যে পাগলাপীর গঞ্জিপুর, চন্দনেরহাট, অবিলের বাজার, বড়ভিটা, বিন্নাকুরি, বড়ঘাট, জলঢাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন দোয়ানী বাজারে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৪ মার্চ দুপুরে বাসদ জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাসদ কনভেশন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিস্তা বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত চতুর্থ বৃহত্তম আন্তর্জাতিক নদী। তিস্তা নদীর পানি প্রধানত সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য ভারত জলপাই গুড়িতে গজলডোবা এবং বাংলাদেশ লালমনিরহাটে তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ করে। উজানের দেশ হিসাবে ভারত আগেই ব্যারেজ ও সেচ খালের মাধ্যমে পানি সরিয়ে ফেলায় শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজ অনেকাংশে অকার্যকর হয়ে পড়ে। আবার বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়ার ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও নদীভাঙ্গন দেখা দেয়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে, ঐতিহাসিকভাবে শীত মৌসুমে তিস্তানদীতে ১৪ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হতো। গজলডোবায় ব্যারেজে পানি প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশ অংশে তা কমে ৪ হাজার কিউসেকে দাঁড়িয়েছে। খরার সময় এই প্রবাহ আরো কমে ১ হাজার কিউসেক হয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তিস্তায় এখন স্মরণকালের ভয়াবহ পানি সংকট চলছে। পানি না থাকায় হাজার হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চারা শুকিয়ে যেতে বসেছে। ফসলের জমি ফেটে চৌচির। পানির স্তর নেমে গেছে প্রায় ৪/৫ ফুট। যার পরিণামে আসের্নিক যুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। নদীতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় সমুদ্রের লোনা পানি ভেতরে প্রবেশ করছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসদ জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, ছাত্রনেতা এম নিয়াজ প্রমুখ।