শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৪, বিকাল ০৫:১৯
গাইবান্ধা: হলের নিজ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুস্তম আলী আকন্দকে আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার চকনারায়ণপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক ও প্রায় ১০০ ছাত্র নিহত রুস্তমের মরদেহ নিয়ে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে যান। আজ নিহত রুস্তমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন আহাজারি করছেন। তাঁর মা রওশন আরাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বাড়িত সগলে আচে, হামার রুস্তম নাই।’ এটুকু বলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির আঙ্গিনায় ১০ বছর বয়সী ছোট ভাই রাকিবকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন বড় ভাই রওশন আলম। রুস্তমের বাবা শাহজাহান আলী চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘রুস্তমকে নিয়েই আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি করবে। সেই আশা আর কপালে সইল না।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল যে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হলো? আমি ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’ বড় ভাই রওশন আলম বলেন, ‘ছোট থেকে রুস্তম মেধাবী ছাত্র ছিল। গত বুধবার আমাকে মুঠোফোনে জানায়, মে মাসে বাড়ি আসবে। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘নিহত রুস্তমের লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য চার বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংক মাদারগঞ্জ শাখার সঙ্গে চুক্তি হয়। ব্যাংক শিক্ষা ঋণ কর্মসূচির আওতায় তাঁকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। এর মধ্যে গত ৩ মার্চ পর্যন্ত রুস্তমকে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ ভরসা রুস্তম আর আমাদের মাঝে থাকল না।’ গতকাল শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে নিজ কক্ষে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রুস্তম আলী আকন্দ। তিনি ওই হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী