আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কুড়িগ্রামে ককটেল ও রাম দাসহ জেএমবি’র ৩ সদস্য আটক

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৪, রাত ১১:০২

 

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের কাঠালবাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয় । আটককৃতরা হল- আনোয়ার হোসেন (৩০), জাবেদ আলী ওরফে জুবায়ের (২৪) ও মনোয়ার হোসেন বিপ্লব (৩৪)। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে কুড়িগ্রাম সদর থানায় পৃথক মামলা বৃহস্পতিবার রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১৫ এপ্রিল শুনানীর দিন ধার্য করে আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে, হাইকোর্টের জামিন আদেশ উপেক্ষা করে ডিবি পুলিশ তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে সাজানো নাটকের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটককৃতদের ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের প্রধান মতিন মেহেদী এবং তার সহযোগী হিসাবে আনোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন ও জোবেদ আলীকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার ২০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। কুড়িগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আলী হায়দার ঐ রায় প্রদান করেন। মতিন মেহেদী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঝিনাইদহে দায়ের করা বোমা হামলায় মৃত্যুদন্ড এবং গাইবান্ধায় বোমা হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ঘোষপাড়ার জনৈক তোতা হাজীর বাড়ী থেকে কথিত আল্লার দল/জেএমবি প্রধান মতিন মেহেদী এবং সহযোগী জোবায়েদ আলী ওরফে জোবায়েদ, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ এপ্রিল ২০০৭ সালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৯০৮ এর ৪(খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ৫১ জনের সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এরপর তারা রংপুর কারাগারে বন্দি ছিল। হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হলে পুলিশ আবারো তাদের জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে আটক করে। এদিকে, আটক জাবেদ আলী ওরফে জুবায়ের এর বড় ভাই আবেদ আলী সাংবাদিকদের জানান, সাজা প্রাপ্ত আসামীরা সম্প্রতি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান। গত বুধবার রংপুর আদালতে কোর্টের কাগজ-পত্র পৌঁঁছলে ঐ রাতেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। রংপুর কারাগার থেকে বেড় হলে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদেরকে আবারও আটক করে। অথচ বুধবার আমরা রংপুর কারাগারে গেলে জানানো হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পারি আমার ভাইসহ অন্যদের ককটেল ও মরচে ধরা রামদাসহ আবারো গ্রেফতার করা হয়েছে। আমর বিশ্বাস আমাদেরকে অসহায় পেয়ে পুলিশ মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগে আবারো মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। এটি জঙ্গি বানানোর নাটক ছাড়া কিছুই নয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনেসপেক্টর রুহানী পিপিএম জানান, ডিবি পুলিশের ইনেসপেক্টর মাহবুব এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ৩ জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার ভোরে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা আসন্ন পহেলা বৈশাখে নাকশতা মুলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।

আনোয়ারের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের কৃষ্ণপুর গ্রামে, সে জেএমবি’র সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড বলে জানা গেছে। জাবেদ আলী ওরফে জুবায়ের বাড়ি কুড়িগ্রামের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় ও মনোয়ার হোসেন বিপ্লব এর বাড়ি রংপুর কোতোয়ালীর পশ্চিম বাবুখাঁ গ্রামে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied