আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পশু-পাখীদের অভয়ারন্য দিনাজপুরের ভাটিনা গ্রাম

শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ১০:৪০

দিনাজপুরের ছোট্ট একটি গ্রাম ভাটিনা। এই ভাটিনা গ্রামের প্রবেশ পথের পার্শ্বে পুকুর পাড়ের বাঁশঝাড়ের মাথায় কয়েকশ বক, পান-কৌড়ি, শালিকের কলকাকলী। এ সময় পাখীর মধ্যে কোনটি উড়ছে, কোনটি ডাকছে। বিভিন্ন পুকুরগুলোতে পাখিকে মাছ শিকার করতে ব্যাস্ত থাকতে দেখা যাবে। এ সমস্ত পাখী উড়ে অন্য কোথাও যায় না। উড়ে ঘুরে ফিরে আবার ঐ বাঁশঝাড় গুলোতে আসছে। বর্তমান সময়ে শহরতো দুরের কথা অধিকাংশ গ্রামে গিয়েও এ ধরণের দৃশ্য দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ দিনাজপুর সদরের ভাটিনা গ্রামে এর ব্যতিক্রম। এ গ্রামের মানুষেরাও পশু-পাখীদের প্রেমিক। এখানে কেউ কোন পাখি শিকার করেও না এবং করতে কাওকে দেয়না। গাছ-গাছালীও বেশী। পরিবেশে এবং আমাদের স্বার্থেই পাখীদের রক্ষা করা প্রয়োজন বলে এলাকার মানুষ মনে করেন।

সেখানে কেউ কোন বক বা পানকৌড়িকে ধাওয়া করে না বা করতে দেয় না স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এভাবেই পাখীর অনুকূল পরিবেশ তৈরী হওয়ায় উত্তর শেখপুরা ইউনিয়ন এলাকার এই গ্রামে কয়েক হাজার পাখীর স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এখানে প্রায় ২৫/৩০ হাজার বর্ষালী পাখী আস্তানা গড়ে। তখন মুখরিত হতে থাকে পাখীর কলকাকলীতে। অনবরত শোনা যায় ডাহুকের ডাক। এ রকম গ্রামবাংলায় কেউ এসে বেরিয়ে গেলে কখনও ভুলতে পারবেনা।

তবে এটা প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেনি। এই অবস্থা কিভাবে সম্ভব হলো তা খুজে দেখতে গেলে সবার আগে বেরিয়ে আসবে আবুল হাসেমের নামটি। উত্তর ভাটিনা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেম একজন সংগঠক, সমাজসেবী, পরিবেশবাদী এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম জানান, পরিবেশ উন্নয়নে পাখীদের রক্ষা, শিয়াল, বিড়াল, গুইসাপ, বেজী প্রভৃতি প্রাণীদের সংরক্ষণে এলাকার লোকজনকে অনুপ্রানিত করার চেষ্টা করেন। আর এ কারণে এখন উত্তর শেখপুরা এসব প্রাণী ও বর্ষালী পাখীদের নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে কেউ পাখী শিকার করে না।

যারা বাইরে থেকে পাখী শিকার করতে চায় স্থানীয় জনগণ তা বাধা দেয় এবং গ্রামবাসী এখন মনে করেন পরিবেশে এবং আমাদের স্বার্থেই পাখীদের রক্ষা করা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম এর পৃষ্টপোষকতায় উত্তর ভাটিনায় মহারাজগঞ্জ হাইস্কুল, উত্তর ভাটিনা আলিম মাদ্রাসা, আলোর ভুবন নামে যুব সংগঠন (দরিদ্র সেবাদানকারী সংগঠন) এবং দিনাজপুর লোকসঙ্গীত দল গড়ে উঠে। প্রতি বছর ১লা বৈশাখে দিনাজপুরের বৈশাখী মেলায় এই সংগঠনের গায়ক, বয়াতি, শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। প্রায় দুই যুগ যাবৎ ১৬ই ডিসেম্বর এখানে বিজয় মেলা বসে এই গ্রামে। ৩/৪ দিন এই মেলা চলে। মুক্তিযোদ্ধা হাসেম জানান, স্ব-উদ্যোগে ১০০টি বটগাছ লাগিয়েছেন। বটগাছ লাগানোর মূল উদ্দেশ্য হলো, বটগাছ বড় হলে তার ফল পাখীরা খাবে। যা এলাকার পরিবেশ উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখবে। তিনি তার জীবনের বাকী সময়গুলো এলাকার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্যই পুরোপুরি ব্যয় করবেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied