আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রাজপথে দিশাহীন বিএনপি

বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০১৪, সকাল ০৯:২০

গত ১মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক দলের গণসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অপহরণ ও গুমের প্রতিবাদে সারাদেশে সাংগঠনিক রেডএলার্ট জারি করলেও সেটা কেবল তার ঘোষণার মধ্যেই সীমাদ্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে অপহরণ ও গুমের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ১০ দফা পরামর্শ দিলেও বাস্তবে তার কোন কার্যক্রম নেই। এনিয়ে অবশ্য দলের নেতাকর্মীদের মধ্য ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও  একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, অপহরণ ও গুমের বিরুদ্ধে হোক আর সরকার বিরোধী আন্দোলনই হোক না কেন, কোন কিছুতেই লাভ হবে না। কারণ বিএনপির ঢাকা মহানগরে অন্তঃকোন্দল চলছে। ফলে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে উঠলেও রাজধানীতে আন্দোলনের প্রভাব পড়ছে না। আর তাই আন্দোলনের কোন ফলপ্রসূ পরিণতি আমরা পাচ্ছি না। এ কারণে আন্দোলন কর্মসূচিতে না গিয়ে আগে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং নিজেদের মধ্য বিরাজমান কোন্দল দূর করতে হবে। তাহলেই আন্দোলনে গতি আসবে।

এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান লেন, “প্রকৃতপক্ষে রাজপথে যে আন্দোলন কর্মসূচি হওয়ার কথা সেটা হচ্ছে না। কিন্তু আন্দোলনও থেমে নেই, সভা, সমাবেশ ও মিছিল-মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে আন্দোলন চলছে। তবে বিএনপির কিছু সাংগঠনিক দূর্বলতা রয়েছে তা আমরা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আর এরমধ্য দিয়েই আমরা আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। রমজান মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনের স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। তবে ঈদের পর পরই আন্দোলনের গতিপথ পরিবর্তিত হবে এবং তার তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে নেতৃত্ব ও প্রতিযোগিতার জন্য কোন্দল থাকতেই পারে। এটা সব রাজনৈতিক দলগুলোতেই আছে। ফলে এই চিন্তা করে কোন লাভ নেই। কারণ খুব শীঘ্রই ঢাকা মহানগরসহ বিএনপির সকল অঙ্গ-সংগঠনগুলো ঢেলে সাজানো হবে।

একই বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান রহমান বলেন, “আন্দোলন সব সময় কৌশলগতভাবে হয়। সেই আন্দোলন অব্যশই রাজপথে হতে হবে। কিন্তু আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলন রাজপথে গড়ে তুলতে পারিনি। এই কথা যেমন ঠিক তেমনি আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে সেটাও মানতে হবে। তবে সাংগঠনিক কিছু কোন্দলের কারণে আমরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি। কিন্তু সাংগঠনিক এ কোন্দল সরকার বিরোধী আন্দোলনে আগামী দিনে কোন প্রকার প্রভাব ফেলবে না।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক  ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. পিয়াস করিম এই বলেন, “বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে রাজপথে সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিপীড়ন মূল বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছিল। তবে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা আগে নিজেদের মধ্য বিশ্লেষণ করতে হবে এবং পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। মূলত সাংগঠনিক দুর্বলতাই বিএনপির রাজপথে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিরণ সেখ, ঢাকাটাইমস

মন্তব্য করুন


 

Link copied