আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

আগাম নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে অপ্রস্তুত বিএনপি

শুক্রবার, ৯ মে ২০১৪, দুপুর ০৪:২১

দশম সংসদ গঠনের পর থেকেই চলতি বছরের আগামী বাজেটের আগেই সবার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘোষণা করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, চীন, ইংল্যান্ড এরা সবাই আগাম নির্বাচন চাইছে। আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতেও সরকারকে চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে।

সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য উল্লেখিত আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী বর্তমান সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলও আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মানসিক ও কৌশলগতভাবে প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে, আগাম নির্বাচন বাজেটের আগে-পরে যখনই অনুষ্ঠিত হউক, সবচেয়ে বেশি বিপত্তিতে পড়বে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অপ্রস্তুত বিএনপি। হঠাৎ করে একটি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা আসলে বিএনপি নানামুখী দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাবে।

সুস্পষ্টভাবে বিএনপির একটি অংশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে না। আবার, কোন রকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলে; দলটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচিত হতে পারে। এমনকি, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতাতেও ধ্বস নামতে পারে।

আগাম নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, তা এখনও নিশ্চিত না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি আনন্দের সাথে নির্বাচনে অংশ নেবে এমন পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি কি কৌশলে আগাম নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে তার কোন আগাম প্রস্তুতিই নিচ্ছে না। যার ফলশ্রুতিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা আসলেই চরম সিদ্ধান্তহীনতায় পড়বে দলটি। এই সিদ্ধান্তহীনতা থেকে আগাম নির্বাচন বর্জন করলে, বিএনপির পক্ষে নির্বাচনকে ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করার বাস্তবতাটুকুও উবে যাবে। অপরপক্ষে, আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান করে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগ নিজেদের ইমেজ সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ফেলবে।

আর, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপে বাধ্য হয়ে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করতে পারলে, সে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও শক্তিসামর্থ্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। তখন ওই সরকারের পক্ষে বিএনপির, বিশেষত তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের বিচার করা খুব সহজতর হয়ে উঠবে। কেননা, তখন আর ‘অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের’ অভিযোগ মাথায় নিয়ে চুপ করে থাকতে হবে না আওয়ামী লীগকে।

এইভাবে, সম্ভাব্য আগাম নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর ভবিষ্যৎয়ের ঈঙ্গিত নিয়ে আসলেও তা বিএনপির জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠবে বলে আভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

নানান সমস্যা সত্ত্বেও দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যতটা আন্দোলনমুখর ছিল, এরপর তা অনেকটাই দমে গেছে। আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে রাখলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কোন আন্দোলন, মিটিং, এমনকি আলোচনাসভাও করতে মনযোগ দিচ্ছে না দলটি। এছাড়া, দলটির নেতৃত্বের সংকট আগের পর্যায়েই রয়ে গেছে। ফলে, আগাম নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা বর্জন কোনটার জন্যই প্রস্তুত নয় বিএনপি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied