আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি উপায়

শুক্রবার, ১৬ মে ২০১৪, বিকাল ০৭:৪২

বদভ্যাস থেকে মুক্তির অন্যতম সেরা উপায় এটি। যারা এসব অভ্যাসমুক্ত তাদের সংস্পর্শে আসুন। তারা যে ধরনের জীবনযাপন করেন সেই জীবন তো আপনিও চান, তাই নয় কি? এসব বদভ্যাস হতে পারে মাদকাসক্তি, অ্যালকোহল আসক্তি এবং এসব অভ্যাসের অত্যাচারে সৃষ্ট বিষণ্নতা ইত্যাদি। এসব মানুষের কাছে থাকলে কীভাবে তারা বদভ্যাসকে দূরে রাখেন তা বুঝতে পারবেন।

২. স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাসের চর্চা করুন

প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের দেহ কোনো না কোনো অভ্যাসে আসক্ত হতে চায়। তাই যেকোনো একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলন এবং তার চর্চা চালিয়ে জান। এর সুফল পেলে অন্য ভালো অভ্যাস আয়ত্ত করতে উৎসাহ পাবেন। ভালো অভ্যাস হতে পারে ভালো মানের এনার্জি খাওয়া শুরু করলেন বা ব্যায়াম অথবা নিয়মিত উপকারী খাবার খাওয়া ইত্যাদি।

৩. উৎসের সন্ধান করে তা কেটে ফেলুন

কোনো একটা কারণে আপনি বাজে অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারছেন না। সেই কারণটি খুঁজে বের করুন। এটাই বাজে অভ্যাস গড়ে ওঠার কারণ। অবচেতন মনে এই উৎসমূল প্রথিত হয়ে রয়েছে। নিজের মনকে বলুন, এই অভ্যাস কী কী ক্ষতি করছে এবং এ থেকে মুক্তি পেলে কী কী লাভ হবে। আপনার অবচেতন মনই তখন তা ছেড়ে দিতে কাজ শুরু করবে।

৪. বাধা তৈরি করুন

হতে পারে কোনোভাবেই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাস আর আপনার মাঝখানে দেওয়াল তৈরি করুন। এতে অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে যখন কোনো কাজ করতে যাবেন, তখনই বড় বাধা আসবে এবং তখন বদভ্যাসের সঙ্গে আপনার সংযোগ ঘটবে না। যদি অতিমাত্রায় ফেসবুকে আসক্ত হয়ে থাকেন, তবে ইন্টারনেট সংযোগটি কেটে দিন। দেখবেন, আবার লাইন নিয়ে ফেসবুকে বসার ঝামেলা করতে মন চাইবে না।

৫. একবারে একটি অভ্যাস ত্যাগে মন দিন

একসঙ্গে অনেকগুলো বদভ্যাস ধারণ করতে পারে মানুষ। তাই একবারে একটি অভ্যাস ভাঙার কাজে মন দিন। একবারে একাধিক অভ্যাস ভাঙতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে অভ্যাসটি কষ্ট দিচ্ছে আপনাকে, তাকে দূর করার কাজে মন দিন।

৬. সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন

একটি বাজে অভ্যাস দূর করতে পারা মানে আপনি বড় কিছু করে ফেলেছেন যা প্রশংসার দাবিদার। কাজেই নিজের সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন। উৎসাহ বাড়লে পরেরটিকে গলা চেপে ধরুন। এই সফলতা আপনাকে আনন্দ দেবে এবং পরের সফলতার জন্য আরো বেশি ক্রিয়াশীল হয়ে উঠবেন আপনি।

৭. সম্ভব হলে কাউবে সঙ্গে নিন

যদি সম্ভব হয়, অভ্যাস ভাঙার কাজে অন্যকে সঙ্গী করে নিন। বন্ধুদের মধ্যে আর কে কে একই সমস্যায় ভুগছেন? তাদের একাট্টা করুন। সবাই না থাকলেও চলবে, একজন থাকলেই যথেষ্ট। এতে একজনকে দেখে অন্যজন আরো বেশি ক্রিয়াশীল হবে। এতে একজন অন্যজনের দ্বারা প্রভাবিত হবেন এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

৮. নিজের ওপর আস্থা রাখুন

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এ কাজে নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। সমস্যা যতো বড়ই হোক আর যতো কঠিনই হোক না কেনো। মনে রাখবেন, অভ্যাসের চেয়ে আপনি নিজেই অনেক বেশি শক্তিশালী। নিজের কাজ, ভালো অভ্যাস, বদভ্যাস এ সবকিছুরই নিয়ন্ত্রক আপনি। কাজেই আস্থা হারাবেন না।

৯. ধৈর্য্যশীল হোন

বদভ্যাস দূরীকরণের কাজে ধৈর্য্য হারানো চলবে না। কিছু সময় তো দিতেই হবে। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করুন, তার জন্য সময় দিতে হবে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটা চলবে না। সূত্র : ইন্টারনেট

মন্তব্য করুন


 

Link copied