বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০১৪, দুপুর ০৪:২৩
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিষ্টি কুমড়ার দুটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। নতুন উদ্ভাবিত জাত দুটি হচ্ছে ‘হাজী ’ও ‘দানেশ’। দুটি জাতই অধিক ফলনশীল ও পুষ্টিমানের দিক থেকে ক্যারোটিনের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে। পুষ্টিমানের দিক থেকে ক্যারোটিনের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে এমন উদ্ভাবিত কোন জাত বাংলাদেশে নেই। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কিছু জাত এদেশে চাষাবাদ হলেও বিভিন্ন পারিবেশিক প্রতিক্রিয়ায় তা যথাযথ ফসল কিংবা উৎকৃষ্টতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। এই উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের বেসরকারী বীজ প্রতিষ্ঠানে লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রধান উদ্ভিদ প্রজননবিদ জি. এম. মহসীন তার গবেষণা কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসু ও ত্বরান্বিত করতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে মিষ্টিকুমড়ার ফলন সম্পর্কিত কৌলিতত্ত্ব শীর্ষক গবেষণা কার্যে পিএইচডি কার্যক্রমে গবেষণা শুরু করেন জুন ২০১১ সালে। এই কার্যক্রমে সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান। উক্ত কার্যক্রমে সহ-তত্ত্বাবধানে ছিলেন উক্ত বিভাগের প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস। মূল গবেষণা তথা মিষ্টি কুমড়ার জাত উন্নয়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ভিতর ও বাহির থেকে মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন জাত এনে মূল্যায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত, উন্নত জাত খুজে বের করা হয়। পরিবর্তিকালে নির্বাচিত পিতামাতা জাতের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত বহুল সংখ্যক হাইব্রিড জাতের, উৎপাদনশীলতা, বাংলাদেশের উপযোগী পরিবেশিক চাহিদা মূল্যায়ন করে ২টি জাতকে সুপারিশ করা হয় এবং জাত দুটি বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় অধিনস্থ জাতীয় বীজ বোর্ডে ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ হাইব্রিড নামে নিবন্ধিত হয়। বাংলাদেশের স্থানীয় মিষ্টিকুমড়ার জাত যেখানে ৭-৯টন/হেক্টর প্রতি ফলন দেয় সেখানে এই গবেষণায় উদ্ভাবিত ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ যথাক্রমে ১২-১৪ টন/হেক্টর প্রতি এবং ১৬-১৭টন/হেক্টর প্রতি ফলন দেয়। এছাড়াও উভয় জাতই খেতে খুব সুস্বাদু (মিষ্টতা ১০-১১.৫) এবং প্রতিটি ফলের গড় ওজন যথাক্রমে ৩-৩.৫ কেজি এবং ৫-৬ কেজি হয়। জাত দুটি সারা বাংলাদেশব্যাপী চাষ উপযোগী। পরীক্ষামূলকভাবে দিনাজপুর জেলার ঘুঘুডাঙ্গার কৃষক মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী তার ১০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার নতুন এ দুটি জাত ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ চাষ করেন এবং তিনি আশানুরুপ ফলন পান। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন বলেন, এ জাতীয় গবেষণা দেশের বীজ শিল্পকে উৎসাহিত করবে যা দেশের সামগ্রিক কৃষি অর্থনীতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এ উদ্ভাবন দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে পুষ্টির চাহিদা মেটাবে।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিষ্টি কুমড়ার দুটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। নতুন উদ্ভাবিত জাত দুটি হচ্ছে ‘হাজী ’ও ‘দানেশ’। দুটি জাতই অধিক ফলনশীল ও পুষ্টিমানের দিক থেকে ক্যারোটিনের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
পুষ্টিমানের দিক থেকে ক্যারোটিনের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে এমন উদ্ভাবিত কোন জাত বাংলাদেশে নেই। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কিছু জাত এদেশে চাষাবাদ হলেও বিভিন্ন পারিবেশিক প্রতিক্রিয়ায় তা যথাযথ ফসল কিংবা উৎকৃষ্টতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। এই উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের বেসরকারী বীজ প্রতিষ্ঠানে লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রধান উদ্ভিদ প্রজননবিদ জি. এম. মহসীন তার গবেষণা কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসু ও ত্বরান্বিত করতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে মিষ্টিকুমড়ার ফলন সম্পর্কিত কৌলিতত্ত্ব শীর্ষক গবেষণা কার্যে পিএইচডি কার্যক্রমে গবেষণা শুরু করেন জুন ২০১১ সালে। এই কার্যক্রমে সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান। উক্ত কার্যক্রমে সহ-তত্ত্বাবধানে ছিলেন উক্ত বিভাগের প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
মূল গবেষণা তথা মিষ্টি কুমড়ার জাত উন্নয়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ভিতর ও বাহির থেকে মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন জাত এনে মূল্যায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত, উন্নত জাত খুজে বের করা হয়। পরিবর্তিকালে নির্বাচিত পিতামাতা জাতের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত বহুল সংখ্যক হাইব্রিড জাতের, উৎপাদনশীলতা, বাংলাদেশের উপযোগী পরিবেশিক চাহিদা মূল্যায়ন করে ২টি জাতকে সুপারিশ করা হয় এবং জাত দুটি বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় অধিনস্থ জাতীয় বীজ বোর্ডে ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ হাইব্রিড নামে নিবন্ধিত হয়।
বাংলাদেশের স্থানীয় মিষ্টিকুমড়ার জাত যেখানে ৭-৯টন/হেক্টর প্রতি ফলন দেয় সেখানে এই গবেষণায় উদ্ভাবিত ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ যথাক্রমে ১২-১৪ টন/হেক্টর প্রতি এবং ১৬-১৭টন/হেক্টর প্রতি ফলন দেয়। এছাড়াও উভয় জাতই খেতে খুব সুস্বাদু (মিষ্টতা ১০-১১.৫) এবং প্রতিটি ফলের গড় ওজন যথাক্রমে ৩-৩.৫ কেজি এবং ৫-৬ কেজি হয়। জাত দুটি সারা বাংলাদেশব্যাপী চাষ উপযোগী। পরীক্ষামূলকভাবে দিনাজপুর জেলার ঘুঘুডাঙ্গার কৃষক মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী তার ১০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার নতুন এ দুটি জাত ‘হাজী’ ও ‘দানেশ’ চাষ করেন এবং তিনি আশানুরুপ ফলন পান।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. রুহুল আমিন বলেন, এ জাতীয় গবেষণা দেশের বীজ শিল্পকে উৎসাহিত করবে যা দেশের সামগ্রিক কৃষি অর্থনীতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এ উদ্ভাবন দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে পুষ্টির চাহিদা মেটাবে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম