আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

কাঠফাটা রোদে শরবতের নামে কি পান করছেন!

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০১৪, বিকাল ০৫:৫৬

আনোয়ার হোসেন, উত্তরবাংলা ডটকম: কালবৈশাখীর মাস বৈশাখ শেষ হয়ে জৈষ্ঠের তাপদাহে সারাদেশে অব্যাহত রয়েছে কাঠফাটা রোদ। সবুজ বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকা নির্বাহের কাজে ছোটাছুটি করছে সারাদিনভর। প্রচন্ড রোদের তাপদাহে গলা ভেজাতে অনেকে পান করেন রাস্তার পাশের সহজলভ্য নানা পানিয় ও শরবত। কতটুকু নিরাপদ এসব পানিয় তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। জেনে-শুনে পান করুন এসব শরবত। সময় বাঁচাতে অনেকেই রাস্তার পার্শ্বে বিক্রী হওয়া নানা রকমের পানিয়, আঁখের রস, বেলের শরবত পান করেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপরিস্কার পানিতে গ্লাস ধোয়া, এক গ্লাসে অনেকজন মুখ লাগিয়ে পান করার ফলে জীবানু বেড়ে ওঠার নিরাপদ স্থান এগুলো। এর মাধ্যম্যে নানা রকম অসুখ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাময়িক তৃপ্তি মিললেও পরবর্তিতে ভুগতে হয় জন্ডিস, ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্রনিক জনিত রোগে এমনকি ছোঁয়াচে চর্মরোগে। আঁখের রসের মতো লেবুর শরবত খরতাপে বুকফাটা তৃষ্ণা মেটাতে অপ্রতিদ্বন্দি। রাস্তার পাশে বিক্রী হওয়া লেবুর রসের বিশুদ্ধতা নিয়ে নিশ্চিত হয়ে পান করুন। অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের এসব শরবত পানের ফলে জন্ডিস বা দীর্ঘমেয়াদী ক্রনিক আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে মানুষ বিপদমুখি হয়ে যায়। কাঁচা আম, বেল, তরমুজসহ বিভিন্ন ফলের রস মুখ রোচক পানিয় হিসেবে জায়গা দখল করলেও পুষ্টির বদলে শরীরে প্রবেশ করছে নানা ব্যাধি। কোল্ড ড্রিংকস আজ কাল আবাল বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের শিশুটির কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। কোক, নানা রকমের উত্তেজক ড্রিংকস, পেপসি জাতীয় নানা কার্বন ডাই অক্সাইড কোমল পানীয়কে তৃষ্ণা মেটাবার প্রথম পছন্দ’র স্থান দখল করে রেখেছে। যা ভয়াবহ ক্ষতিকর। সাময়িক তৃষ্ণা মেটালেও এসব পানিয় শরীরে পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। শরীর নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র কিডনী অকেজো করে জীবনের আলোর বাতাস নিভিয়ে দেয়। শরবত জুস ইত্যাদি আকর্ষণীয় করতে নানা কেমিক্যাল মিশ্রিত করা হয়। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো পেটের নানা পীড়াসহ স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। কোন পানীয় পানের আগে এসবের গুনগত মান, বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এসব পরিহার করে সার্বক্ষনিক হাতের নাগালে পানির বোতল রেখে পানি পানের চাহিদা পুরণ করে সুন্দর, সুস্থ থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন, সুস্থ-সুন্দর থাকুন ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied