ডেস্ক: রীতিমত ম্যাজিকই দেখালেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি ঝড়ে ভেসে গেলো কংগ্রেস। এ ঝড়ের রেস এসে লেগেছে ঢাকায়ও। ভারতের নির্বাচন শুরুর আগেই নড়েচড়ে বসেছিলেন বিশ্লেষকরা।
৭ই এপ্রিল থেকে ১২ই মে। এক মাসেরও বেশি সময়ের অপেক্ষা। এই সময়ে ভোটে ব্যস্ত ছিল ভারত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। সারা দুনিয়ার দৃষ্টি ছিল এই নির্বাচনে। ভোটের ফল পাওয়া গেলো বৃহস্পতিবার।
আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক মিত্র হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস। কংগ্রেসের ভরাডুবি ঢাকার রাজনীতিতে কি কোন প্রভাব বিস্তার করবে? নরেন্দ্র মোদির বিজয় স্পষ্ট হওয়ার পরপরই তাকে অভিনন্দিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ থেকে তিনিই প্রথম অভিনন্দন জানান ভারতের ভাবি প্রধানমন্ত্রীকে। বিজেপির বিজয় ঢাকায় আপাত বিরোধী শিবিরে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
যদিও আওয়ামী লীগ বলছে ভারতে সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশে এর কোন প্রভাব পড়বে না। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের নির্বাচনের ফলে উল্লাসিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে সম্পর্ক রক্ষা করেছে বিজেপি হয়তো ততোটা যাবে না। তারা দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশার ভিত্তিতে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতে পূনরায় কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে এর প্রভাব পড়তো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল ও সরকারে। এতে করে বিরোধী জোটের ওপর নতুন করে দমন পীড়ন ও বাড়তো। এখন হয়তো এমনটি আর হবে না। কারণ বিজেপির জয় অস্বস্থির বার্তা নিয়ে এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য।
কংগ্রেসের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রক্ষা করে চলা আওয়ামী লীগকে এখন নতুন করে সম্পর্ক গড়তে হবে মোদীর সরকারের সঙ্গে। এই কাজটি তাদের জন্য চ্যালেঞ্জেরও বটে। তবে দেখার বিষয় মোদী তার পররাষ্ট্র নীতিতে কি পরিবর্তন আনেন। আর বাংলাদেশ নিয়ে তার অবস্থান কি হয়। অনেকে বলছেন, মোদীর ভুমিধ্বস উত্থানে কিছুটা হলেও পশ্চিমা প্রভাব আছে। যা তার বিদেশনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। এই প্রভাব বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পড়তে পারে। তা দেখার জন্য হয়তো আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।