ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৯ মে॥ দারিদ্রতা ও অর্থ সংকটের কারনে পিতার সাথে নিজেও ভ্যান টানতো হাফিজুল ইসলাম। বিকালে স্কুল ছুটির পর সে ভ্যান চালানো। শারীরিক পরিশ্রমের পর রাত জেগে লিখাপড়া করতো। এরপরও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় হাফিজুল দিনাজপুর বোডে নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সে নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ভ্যান চালক এমদাদুল হকের পুত্র।
হাফিজুল জানায় সে ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু কলেজে ভর্তি হয়ে লিখাপড়া চালানোর অবস্থা নেই তার।
হাফিজুলের পিতা ভ্যান চালক এমদাদুল হক মেধাবী ছেলের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলে বলেন, “প্রায় সময় স্কুল না গিয়ে হাফিজুল ভ্যান ঠেলতো। তার পরও থেমে থাকেনি তার মেধা। এখন তিনি তার ছোট ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
হাফিজুলের মা মর্জিনা বেগম বলেন তার ৩ ছেলে ১ মেয়ে। হাফিজুল সবার ছোট। তিনি বলেন তার বড় ছেলে সাব্বির হোসাইন ২০০৮ সালে নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস,সি পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় লিখা হলে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান তার লিখাপড়ার দায়িত্ব নিয়ে ঢাকার নটরডম কলেজে ভর্তি করায়। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ সাব্বির এখন চট্রগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়তে সি,এস,ই, তে ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত রয়েছে। এখন তার ছোট ছেলে হাফিজুল ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু তাদের পক্ষে হাফিজুলের উচ্চ শিক্ষা লাভের খরচ বহনের সামর্থ্য নেই।