আমি বলেছি, ‘ঠিক আছে শুধু রান্না করেই খাওয়াব। আর কোনো কিছু খেতে চেয়ো না।’
‘না, না, বাবা, থাক। তোমার রান্না করতে হবে না। হোটেল থেকেই সবকিছু নিয়ে আসব। তুমি আমাকে অন্য কিছুই খাইয়ে যেয়ো।’
আজ পরিকল্পনা করেই রানার রুমে এসেছি। ওকে কঠিন করে শাস্তি দেওয়ার জন্য। চিন্তা ছিল, রানাকে এমন শাস্তি দেব, যেন আর কোনো দিন আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাসতে না পারে। কিন্তু ধারালো বঁটি দিয়ে এভাবে ওর গলাটা কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলব, সেটা ভাবিনি। রানা অন্য কারো হয়ে যাচ্ছে, এ আমার সহ্য হচ্ছিল না। আমি নিজের হাতেই আমার ভালোবাসাকে খুন করে ফেলেছি।
রানার জন্য এখন খুব কষ্ট লাগছে। আমাকে হয়তো একটুকুও সে ভালোবাসত না। কিন্তু আমি যে রানাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসতাম। আমার হাতে এখনো লেগে আছে রানার রক্ত। পুরো হাতটি লাল টকটকে রক্তে মাখানো। রানাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলায় বুকটা ভীষণ ভারী হয়ে উঠছে। এভাবে রানাকে হারিয়ে ফেলায় বুকের মধ্যে আমার পুরো আকাশের সমান শূন্যতার মতো লাগছে। আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। মনে হচ্ছে, রানাকে হারানোয় আমার বুক ফেটে এখনই চোখ জুড়ে প্লাবনের মতো কান্নার ঢেউ উঠবে। আমি তো রানাকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এভাবে হারাতে চাইনি।
লেখক : গল্পকার ও সাংবাদিক, মাদারীপুর।