ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২১ মে॥ বিয়ের ৩৩ দিনের মাথায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় নববধু আছফিনা বেগমের(১৮) মৃত্যু ঘিরে রহস্যের জট বেঁধেছে । মঙ্গলবার রাতে ডোমার থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বুধবার দুপুরে জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করেছে। নিহত আছফিনা ডোমার উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের চিকনমাটি হুজুরপাড়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়, চলতি বছরের মাসের ১৮এপ্রিল ডোমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া রেলস্টেশন এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমানের(২৮) সাথে বিয়ে হয় আছফিনার।
আছফিনার চাচা নুরুন্নবী বলেন, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৮০হাজার টাকার মধ্যে ৫০হাজার টাকা পরিশোধ করা হয় ছেলের পরিবারের কাছে। বাকী ৩০ হাজার টাকার জন্য তারা চাপ দিয়ে আসছিল। এতে শ্বশুড়বাড়ির লোকদের চরম নির্যাতনে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল আছফিনা। এ অবস্থায় আছফিনাকে তার শ্বশুড় মোবারক হোসেন গত ১০মে জোড়পূর্বক বাবার বাড়িতে রেখে চলে যায়। এ সময় মেয়েটি তার উপর নির্যাতনের কথা জানিয়ে বলে তাকে জোড়পূর্বক জুস খাওয়ালে কথা বলতে হয়। গলায় প্রচন্ড ব্যথা। এ ছাড়া গোপন অঙ্গে রক্তক্ষরন হয়েছে।
সুত্র মতে, আছফিনাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় । সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যায়।
ডোমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য সোলায়মান আলী জানান, মেয়ে পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে বিষয়টি শুনেছি। তারা আছফিনার স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। রাতে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কফিল উদ্দিন জানান, থানায় লিখিত ভাবে জানানোর পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে বুধবার নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর নিহতের সঠিক কারণ জানা যাবে। যদি হত্যার ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।