জানাগেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার অথচ এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোন মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থা নেই, প্রশাসনিক ভবনের দুই তিন কক্ষ নিয়ে মেডিকেল সেন্টার। সেখানে পর্যাপ্ত ঔষধ নেই, নেই ওজন মাপার কোন ব্যবস্থা। আর এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র দুইজন ডাক্তার। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বাধ্য হয়ে যাচ্ছে বাইরে ঔষধ কিনতে।
রসায়ন বিভাগে শিক্ষার্থী রানা জানান, মেডিকেল সেন্টারে গেলে ঔষধ দিতে চায় না, আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। যদিও ঔষধ লিখে দেয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হয়।
গণযোগায়োগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী কাহারুল কানন জানান, মেডিকেল সেন্টারে গেলে ঔষধ দিতে চায় না, অনেক তর্ক-বিতর্ক করে। আমরা যদি দুপুর একটার সময় যাই আমাদের বলে এই সময় আসছেন কেন। আমাদের মেডিকেলে অনেক দামি দামি ঔষধ আসে কিন্তু আমাদের স্বল্প মূল্যের ঔষধ দেয়। অনেক সময় ঔষধ নিতে গেলে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন শিক্ষার্থী জানান, মেডিকেল সেন্টার যে দামি দামি ঔষধ গুলো আসে সেগুলো যায় কোথায়। আমাদের মনে হয় বর্তমানে মানুষ যেমন অপহরণ করা হয়, তেমনি আমাদের মনে হয় মেডিকেল সেন্টার ঔষধ সেভাবে অপহরণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ জানান, সব অসুখের জন্য নাপা, প্যারাসিটামাল দেয় এবং অন্য কোন ঔষধ দেয় না। আর মাঝে মাঝে স্যালাইন পাওয়া যায় । প্রতি সেমিস্টারের জন্য ৩০০ টাকা করে মেডিকেল সেন্টার ফি দেই সে অনুপাতে সার্ভিস পাই না। যে বিপুল পরিমান টাকা আসে সেটার কোন সঠিক ব্যবহার হয় না । যে দুইজন মহিলা ডাক্তার আছে তারা আমাদের প্রতি আন্তরিক নয়।
এ বিষয় মেডিকেল সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে ডা: ফারহানা আফরোজ স্নিদ্ধা এবং ডা: নীলুফার বানু উত্তরবাংলা ডটকম কে জানান, এখানে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়, অন্য কোন বড় চিকিৎসা এখানে দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা জন্য সব রকম ঔষধ দিয়ে থাকি।
এ বিষয় জনসংযোগ ও তথ্য দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মাদ আলী উত্তরবাংলা ডটকম কে জানান, যদি সব ঔষধ শিক্ষার্থীরা পেতে চায় তবে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাজেট বাড়াতে হবে।আর এই সল্প পরিমাণ বাজেট দ্বারা সব ঔষধ কেনা সম্ভব নয়। তবে তিনি আশাবাদি আগামী মাসের মধ্যে কিছু ঔষধ আসবে ।