আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিস্তা চুক্তি হবে না

শনিবার, ৩১ মে ২০১৪, দুপুর ১২:২৯

[caption id="attachment_27121" align="alignleft" width="420"] উপরে:ভারতের গজলডোবা ব্যারাজ। নিচে: বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজ[/caption]

তিস্তার পানি আটকে রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে কৃষি সম্প্রসারণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ইন্ডিয়া। এছাড়া, দেশটি নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিস্তার পানি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজও এগিয়ে নিয়েছে। অথচ, বাংলাদেশের কূটনীতিকদের সাথে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি সাক্ষরের নামে কালক্ষেপণ করেই চলেছে ইন্ডিয়া।

তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সাক্ষর কিংবা বাস্তবায়ন করলে থমকে যেতে পারে শত কোটি টাকা বিনিয়োগে বাস্তবায়ন করা ইন্ডিয়ার একরোখা উন্নয়ন নীতি। ফলে, তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কর্মকাণ্ডগুলো শেষ পর্যন্ত কালক্ষেপণের পর্যায়েই থেকে যাবে। আর, তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের নামে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর আশার বাণীগুলো পরিণত হতে যাচ্ছে দূরাশায়।

পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই দুটো রাজ্যই তাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে তিস্তার পানি ব্যবহারের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে তিস্তার পানি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বাড়াছে বিনিয়োগ। ফলে, বাংলাদেশের সাথে তিস্তার পানি বন্টন তো দূরের কথা, কমে যেতে পারে বাংলাদেশে তিস্তার পানির প্রবাহ।

এখনও পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি সাক্ষরের প্রধান বাঁধা হিসেবে ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই সামনে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির বিবেচনায় পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও বড় বাধা হচ্ছে সিকিম রাজ্য সরকার। এবং এই দুই রাজ্যেই তিস্তার পানি আটকে রেখে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নাটেরগুরুর ভূমিকা নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তাই, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের বিরোধ নয়, ইন্ডিয়া রাষ্ট্র হিসেবেই তিস্তা চুক্তি সাক্ষর ও বাস্তবায়ন বিরোধী।

ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৫-৭৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের’ মাধ্যমে শুরু হয় নদীটির পানি প্রত্যাহার। ইন্ডিয়া এই প্রকল্পটিকে আরও সম্প্রসারণ করেছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প সম্প্রসারণ কাজ চলার কথা রয়েছে। এর আওতায় আরও অধিক খাল খনন করে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নেবে ইন্ডিয়া। উদাহরণ স্বরূপ, তিস্তা জলঢাকা মেইন খাল খননের কাজ এখনও চলছে। পুরো খনন কাজটি শেষ হলে, তিস্তা থেকে আরও অধিক পরিমাণ পানি প্রত্যাহার করতে সক্ষম হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়া, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানর কাজ পুরো দমে চালাছে দেশটির সরকার।

অপরদিকে সিকিমেও তিস্তার উৎস নদীগুলোতে বাধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। প্রচন্ড জ্বালানী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অংশ হিসেবে ইন্ডিয়া চাইছে, সিকিমকে জ্বালানী উৎপাদনের ‘আঁতুড় ঘরে’ পরিণত করতে। এরই অংশ হিসেবে তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে ইন্ডিয়ার। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার সিকিম অংশের তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে সমস্ত বাধাকে থোড়াই পাত্তা দিয়েছে।

তিস্তার উপর বাঁধ নির্মাণ না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করা থেকে শুরু করে, সুশীল সমাজ, স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে দ্বন্দ্বে যাওয়ার মতো ঝামেলা নিঃসংকোচে নিয়েছে সরকার। তারা সিকিম অংশে তিস্তা নদীর উপর ১৬৮টি বাঁধ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। গত বছর পর্যন্ত কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র।

বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতির ক্ষতি হলেও, ইন্ডিয়া সেই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পেতে শুরু করেছে মাত্র। এই পরিস্থিতিতে, তিস্তাচুক্তি সাক্ষর ও বাস্তবায়ন করে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ও উন্নয়নের সুযোগ হারানর কথা ঘুণাক্ষরেও ভাবছে না ভারত। তবুও মোদী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছেন, বাংলাদেশের কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদরা। এমনকি মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, “তিস্তার পানি বণ্টন ও স্থল সীমান্ত চুক্তির মতো অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলোর সমাধানের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন মোদি। এসব সমস্যার সমাধানে তিনি অত্যন্ত আগ্রহী।”

ভারতের পক্ষ থেকে পানি বন্টন চুক্তি সাক্ষরের আগ্রহ দেখিয়ে তিস্তার পানি আটকানর প্রকল্পে বিনিয়োগ ও বাস্তবায়নের পরও বাংলাদেশ কী একই স্বপ্ন দেখেই যাবে? নতুনদিন

মন্তব্য করুন


 

Link copied