আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

ভুয়া সনদ নিয়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০১৪, দুপুর ০২:২১

আবুল মোহসিন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দক্ষিন বালাপাড়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক।

প্রাপ্ত অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দাখিল পাস না করলেও আবুল মোহসিন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন ১৯৭৫ সনে আলিম ও ১৯৭৭ সনে ফাজিল পাস করে দক্ষিন বালাপাড়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী পদে ২১ আগষ্ট ১৯৮০ সনে যোগদান করেন। বড় ভাই সাবেক মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সভাপতি থাকার সুবাদে ১৯৮৭ সনে ভুয়া কামিল পাসের সাময়িক সনদ দিয়ে সহকারী মওলনা পদে পদন্নতি গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সনের ১৭ সেপ্টেম্বর মিনিষ্ট্রি অডিটে তার কামিল সনদ ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় এক বছরের বেতন ভাতার সরকারী অংশ ফেরত দিতে বাধ্য হন। সনদপত্র ভুয়া হলেও বড় ভাই সভাপতি থাকায় চাকুরী থেকে যায় বহাল তবিয়তে। অবশেষে চাকুরী বাঁচাতে ১৯৯৫ সনে কামিল পাস করলেও নতুন করে নিয়োগ দেয় নি কর্তৃপক্ষ। ফলে তার ক্ষত চিহ্ন কালের স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয় ওই প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেনকে বাতিল করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে সভাপতি করেন। শুরু হয় ক্ষমতার লড়াই। ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষক কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিনের সভাপতির পদ হারিয়ে এবং ছোট ভাইয়ের চাকুরী বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন। তিনি তার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করলে নতুন সভাপতির কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এ দিকে সভাপতি’র কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ২ মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না ওই প্রতিষ্ঠানের ৩০জন শিক্ষক কর্মচারী। অপর দিকে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলনা আনছারুল হক অফিসের কাজে ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন রোববার অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্থ করেন। আর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন তারই ছোট ভাই জাল জালিয়াতির হোতা আবুল মোহসিন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেনকে। ফলে অত্যন্ত গোপনে রাখা সনদ জাল জালিয়াতির বিষয়টি বেড়িয়ে আসতে শুরু করে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছ’ক ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক বলেন, বড় ভাই সভাপতি থাকায় এত বড় জাল জালিয়াতি করেও চাকুরী বহাল রয়েছে।

অধ্যক্ষ থাকতেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ে অনেকটাই জটিলতায় পড়েছেন শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে বাঁধতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ। সংঘাত এড়াতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।

সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বাতিল করলেও হাইকোর্ট নতুন সভাপতিকে স্থগিত আদেশ দেয়ায় তিনি সভাপতি হিসেবে দাবি করে অনুপস্থিত অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্থ করেছেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল মোহসিন মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন এক বছরের বেতন ভাতা ফেরতের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কাগজে ভুলভাল যাই থাক, অধ্যক্ষ কি না দেখে চাকুরী দিয়েছেন। তাছাড়া দুইটা কামিল পাসের সনদ আমার আছে। তবে চাকুরীর শেষ সময়ে এ নিয়ে লেখা লেখি না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

দক্ষিন বালাপাড়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলনা আনছারুল হক মোবাইলে বলেন, কে কাকে বরখাস্থ করেছে তা আমি জানি না। আমি অফিসের কাজে ঢাকায় আছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied