শীতের দাপটে মানুষ জবুথবু। উত্তরী ও পশ্চিমা হাওয়া ঢুকেপড়ায় জনজীবন কে থমকে দিয়েছে। উত্তরী হাওয়ার তীব্র এতোই বেশী যে তাতে শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। মানুষ শীতে কাঁপছে। ঘন-কুয়াশা কেটে যাবার পর দুপুর দেড়টার দিকে রোদ ঝলমলিয়ে উঠলেও উত্তরী দমকা বাতাসের ধাক্কায় রোদের প্রখরতা ম্লান হয়ে পড়ে।এদিকে শৈত্যপ্রবাহ ,ঘন কুয়াশায় শীতের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে এ অঞ্চলের কৃষকদের বড় সমস্যা হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে তারা যেমন মাঠে কাজ করতে পারছেনা তেমনি বোরোর বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে শীতের যে পরিস্থিতি তাকে চাষীভাইদের সেচ নির্ভর বোরো আবাদ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেই বীজতলার ক্ষতি হয়। সেখানে নীলফামারী সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে-এ। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরী হাওয়ায় আলু ,গম,সরিষা ক্ষেতের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে।