আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

শীতে নীলফামারীতে আরও ৭ জনের মৃত্যু॥ কাঁপছে সৈয়দপুরের জনজীবন

বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ০৯:৪২

নিজস্ব সংবাদদাতা,নীলফামারী॥ থরথর করে কাঁপছে সৈয়দপুরের জনপথ। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নীলফামারী সৈয়দপুরে রেকর্ড করা হয় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার প্রভাব নীলফামারী জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে সৈয়দপুরের ৫ উপজেলা ও পৌর শহরটির মানুষজন কাবু হয়ে পড়ে। ঘরে ঘরে আগুনের কুন্ডুলি জ্বালিয়ে সৈয়দপুর সহ জেলার মানুষজন শীত নিবারণ করছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল কতে দেখা গেছে। শীত সহ্য করতে না পারায় নীলফামারীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত হাজিরা দিতে পারছেনা। অভিজ্ঞ-মহল বলছে শীতের তীব্রতায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো আপাতত বন্ধ রাখা উচিৎ। যে সব শিশুরা স্কুল যাচ্ছে তাদের কষ্ট হচ্ছে। অনেক শিশু শীত-জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। শীতে সৈয়দপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার হত দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সৈয়দপুরের ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২০জন শিশুকে। এরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীত-জনিত রোগে আক্রান্ত। অপর দিকে ফসলী জমিতে কাজ করতে পারছেনা কৃষক,কামলা। ফলে সেচ নির্ভর বোরো চাষ পিছিয়ে পড়ছে। এদিকে শীতের কামড়ে নীলফামারীর তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলার গ্রামে ৪ জন ও ডোমার উপজেলায় ১ জন,জলঢাকা উপজেলায় ১ সৈয়দপুর উপজেলায় ১ সহ ৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ফলে গত তিনদিনে ১৩ জনের মৃত্যু হলো। শীতের কারণে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যাওয়া ৭ জন হলেন,সৈয়দপুর উপজেলার শহরের গোলাহাট মহল্লার শুকুর মাহমুদ(৬০) ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউপির শালমারা গ্রামের দিনমজুর সুধেন চন্দ্র রায় (৬২), ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউপির দক্ষিণ কাঁকড়া গ্রামের মৃত নুরুদ্দিনের বিধবা স্ত্রী আছিয়া বেওয়া(৭৫), একই ইউপির নাউতারা নিজপাড়ার ইউনুছ আলী (৬৫) ঝুনাগাছচাঁপানী ইউপির উত্তরসোনাখুলী গ্রামের কাশেম( ৭০) ও বালাপাড়া ইউপির দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের সুলতান আলী(৬৫),জলঢাকা উপজেলার খুটামারা কবিরাজপাড়ার দিনমজুর কোরবান আলী (৬০)। শীতের কারণে এই ৭ মারা যান বলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন।

শীতের দাপটে মানুষ জবুথবু। উত্তরী ও পশ্চিমা হাওয়া ঢুকেপড়ায় জনজীবন কে থমকে দিয়েছে। উত্তরী হাওয়ার তীব্র এতোই বেশী যে তাতে শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। মানুষ শীতে কাঁপছে। ঘন-কুয়াশা কেটে যাবার পর দুপুর দেড়টার দিকে রোদ ঝলমলিয়ে উঠলেও উত্তরী দমকা বাতাসের ধাক্কায় রোদের প্রখরতা ম্লান হয়ে পড়ে।এদিকে শৈত্যপ্রবাহ ,ঘন কুয়াশায় শীতের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে এ অঞ্চলের কৃষকদের বড় সমস্যা হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে তারা যেমন মাঠে কাজ করতে পারছেনা তেমনি বোরোর বীজতলার ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে শীতের যে পরিস্থিতি তাকে চাষীভাইদের সেচ নির্ভর বোরো আবাদ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেই বীজতলার ক্ষতি হয়। সেখানে নীলফামারী সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে-এ। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরী হাওয়ায় আলু ,গম,সরিষা ক্ষেতের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied