রবিবার রাত সোয়া এগারটায় লক্ষ্মীপুরে গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
'এই সরকার হলো অপরাধী' উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, মিরপুরের কালশীতে বিহারি পল্লীতে ঘরের ভেতর মানুষকে বন্দি করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের হত্যা করেছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে বাংলাদেশে প্রতি পদে পদে মানবধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কখনই শুধরাবে না। এই দুনিয়াতেই তাদের বিচার হবে।
এর আগে গুলশান কার্যালয়ে নিখোঁজ ও খুন হওয়া নেতাকর্মীদের স্মরণে কান্নার রোল পড়ে। লক্ষ্মীপুর জেলার যেসব নেতাকর্মী খুন হয়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে এসে তাদের স্বজন হারানোর কথা বর্ণনা করেছেন। রাত সোয়া ৯টা থেকে স্বজনহারাদের কথা শুনেছেন খালেদা জিয়া।
এসময় লক্ষ্মীপুরের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের স্ত্রী বর্ণনা দেন কীভাবে তার স্বামীকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে র্যাব-৭ এর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, সে আমরা বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে র্যাব আমার স্বামীকে তুলে নেয় এবং বলে সকালে ছেড়ে দেবে। কিন্তু এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। এখন শিশু সন্তান নিয়ে আমি বিপদে আছি। তার বিপণ্ণ পরিবারের প্রতি সুবিচার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরের যুবদল নেতা সোলাইমানেরর স্ত্রী বর্ণনা দেন কীভাবে উত্তরা থেকে র্যাব তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বেলন, রিকশায় করে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। আমার সন্তানকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। এর পর থেকে তার খোঁজ নেই।
এসময় স্বজনহারাদের কান্নায় খালেদা জিয়ার কার্যালয় ভারি হয়ে ওঠে।
নিখোঁজ ও নিহতদের এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভুইয়া। উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।