খায়রুল ইসলাম,গাইবান্ধা,থেকে: সাদুল্যাপুর উপজেলার কিশামত বড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তিকে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগের পায়তারার অভিযোগ তুলেছেন চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থী আতাউর রহমান নামে এক যুবক। এ বিষয়ে তদন্তর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতির বরাবরে ১১ জুন লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই প্রার্থী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদের জন্য ৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। পরে ২ মার্চ প্রার্থীদের পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ছিল। কিন্তুু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ অঙ্গাত কারণে পরীক্ষা গ্রহন স্থগিত করেন। স্থগিতের পর আবেদন করা প্রার্থীদের না জানিয়ে এবং নোটিশ বোর্ডে নোটিশ না দিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাদের মনোনিত ৩ প্রার্থীকে ডেকে গোপনভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয়, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজস করে কিশামত বড়বাড়ি গ্রামের মৃত-ছামছুল আলমের ছেলে জহুরুল ইসলামকে নিয়োগের পায়তারা করছেন। অথচ জহুরুল ইসলামের বয়স এখন ৪৫ বছর। তার মেয়ে বর্তমানে ১০ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
চাকুরী প্রত্যাশী আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আগেই আমার নিকট পর্যায়ক্রমে ৭০ হাজার টাকা গ্রহন করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ। এছাড়া সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ গ্রহন করে বয়স জালিয়াতি (ভোটার আইডি কার্ড) ও অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট তৈরী করেই নিয়োগে জন্য দৌড়ঝাপ অব্যহত রেখেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে অভিযোগের বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, প্রার্থী আতাউর রহমানের আবেদন পত্রে নিজের স্বাক্ষর না থাকা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন করায় আবেদন পত্র বাতিল করা হয়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ টাকা গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রার্থীর ৪৫ বছর কিনা সেটা কাগজপত্রে প্রমাণিত হবে।