আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

নানা সমস্যার মধ্যেও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলছে ঠাকুরগাঁও সরকারি গ্রন্থাগারটি

রবিবার, ২২ জুন ২০১৪, রাত ১০:৩৬

 গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত গ্রস্থাগার খোলা থাকে। ঠাকুরগাঁও সরকারি গ্রস্থাগারটিতে প্রায় ১৯ হাজার বই রয়েছে। এখানে প্রতিদিন ১০টি জাতীয় পত্রিকা নেওয়া হয়। এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লেখকদের বিখ্যাত উপন্যাস রয়েছে দর্শন, ইতিহাস, ভ্রমনকাহিনী, বিজ্ঞান, বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যের নানা ধরনের বই। হরেক রকম বইয়ের পাশাপাশি আছে জাতীয় দেনিক ও সাপ্তাহিক ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইসহ গাইড ও জার্নাল। এতকিছু পরও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে এই সরকারি গ্রন্থাগারটি।

 পাঠকদের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও সরকারি গ্রস্থাগারটিতে পুরোনো বই দিয়ে ভর্তি। এখানে মাত্র ১০টি পত্রিকা নেওয়া হয়। একজন একটি পত্রিকা পড়লে অন্যজনকে বসে থাকতে হয়। গ্রন্থাগারটি সকাল ১০ থেকে ৫টা পর্যন্ত বই পাড়ার সুযোগ থাকলেও। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এখান থেকে তেমন কোন সুযোগ পাচ্ছে না। স্কুল ছুটি হয় ৪টায় গ্রস্থাগারে যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে যায়।

 ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাব্বির আহম্মেদ জানান, আমার বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ে বই পড়ার খুব ইচ্ছে। কিন্তু স্কুল ছুটির পড় গ্রস্থাগারে আসলেই এটি বন্ধ হয়ে যায়। এই গ্রন্থাগারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না আমার মত স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

 সাজু ইসলাম জানান, নিয়মিত গ্রস্থাগারে আছি পত্রিকা পড়ার জন্য। কিন্তু পত্রিকার সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক সময বসে থাকতে হয়। এখানে পত্রিকা ও নতুন বইয়ের সংখ্যা বাড়ালে পাঠকরা সুবিধা ভোগ করতে পাবরে।

 ঠাকরগাঁও সরকারি কলেজের অর্নাস ইংরেজী বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর-ই-আলম জানান, এখানে ইংরেজী বইয়ের সংখ্যা খবই কম। মাঝে মধ্যে বই পড়ার জন্য আসি না পেয়ে ফেরত যেতে হয়।

 মাহাবুবুর রহমান নামে এক পাঠক জানান, এখানে পুরোনো বই দিয়ে ভর্তি। পুরোনো বইয়ের কোন নতুন সংস্করণ নেই। এখানে নতুন বইয়ের সংখ্যা বাড়লে নিয়মিত পাঠক সংখ্যা বাড়বে।

 এই সরকারি গ্রস্থাগারটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার টয়লেট ব্যবস্থা অত্যান্ত নাজুক। গ্রস্থাগারটিতে দিন দিন পাঠক সংখ্যা রাড়লেও বাড়েনি জনবল। ২জন দিয়েই চলছে এই গ্রস্থাগারটি। পাঠকের ভিড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এদেরকে। বর্তমানে ৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

 এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সরকারি গ্রস্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান আম্বিয়া বেগম বলেন, বইয়ের সংখ্যা বাড়লেও অনেক সময় পাঠকের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাসের বইয়ের চাহিদা থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা পূরণ করা যাচ্ছে না। তবে পাঠকের চাহিদা পূরণের আমার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied