আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৩, রাত ০৯:২৬

নীলফামারী জেলা সদরের চড়াইখোলা বসুনিয়াপাড়ার এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। কিশোরীটিকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীটির অবস্থা আশংকাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে । এ ঘটনায় শনিবার বিকালে নীলফামারী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে কিশোরীর চাচা শফিকুল ইসলামের মেয়ে তানজিলা বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বাকপ্রতিবন্ধি রফিকুল ইসলামের মেয়ে (১২) তার চাচাতো বোনের বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে সেখানে অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় মেয়েটি বিয়ের অনুষ্ঠানের বাহিরে এলে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বখাটে আবু সাঈদ (২০) ও কালু মাহমুদের ছেলে বখাটে মুকুল হোসেন (২১) তাকে মুখ চেপে গ্রামের অদূরে একটি ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় কিশোরীকে তারা রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। ওই পথে গ্রামের বেশ কিছু লোক আসার পথে  ব্রিজের উপর রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেয়। সেখান থেকে রাত ১০ টায় রফিকা কে প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। রংপুরে রফিকার সাথে থাকা তার মা আমিনা বেগম জানায় তার মেয়ের অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনায় আসামী দুজনকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার রফিকার চাচাতো ভাই আশিকুর রহমান শনিবার বিকালে নীলফামারী থাকায় মামলা( নম্বর ৮) দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম মামলা পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে যান।তিনি সেখান থেকে সেলফোনে জানান আসামী দুজন ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। নীলফামারী থানার ওসি আবু আক্কাস জানান মামলা পেয়ে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied