এদিকে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা নদীর সংলগ্ন বাইশপুকুর চর গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘর হাটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। গত ১৭দিনের মধ্যে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ দফা বন্যায় হতদরিদ্র মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছে। পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রামে ৪টি রাস্তা ভেঙ্গে পড়ার স্থানীয় লোকজনের বসতভিটা থেকে বন্যার পানি নামছে না। এসব এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারী ভাবে কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় জনপ্রতিনিধিরা সাহস্য প্রদান করতে পারছে না।।
ডিমলা উপজেলার খাঁলিশা চাঁপানী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর ছোটখাতা গ্রামে প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি প্লাবিত করে। রমজান মাসে টানা বন্যার কারনে হতদরিদ্র মানুষদের নার্ভিম্বাস অবস্থানে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর জন্য বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার জরুরি। অনেক পরিবার রমজান মাসে ভোর রাতে সেহরি খেতে পারছে না।
অপর দিকে উজানের ঢলে তিস্তা অববাহিকার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাঁপানী, জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী, কৈমারী এলাকার চরগ্রামগুলোতে পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তার ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, উজানে ঢলে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তানদীর পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০ মিটার) ১০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিবিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বর্ষন ও উজানে ঢলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
উল্লেখ যে চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে সর্বপ্রথম গত ৩০ জুন তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ২৪ ঘন্টা পর নিচে নেমে আসে। আট দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় ৯ জুলাই তিস্তার পানি বিপদসীমা ৬ সেন্টিমিটার ও ১৪ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।