গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন (৩৫) তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম সেলিম (৩০), গ্রাম পুলিশ মান্নান মিয়া (২৬) ও রঞ্জু মিয়া (৪২)। গুরুতর আহত সেলিম মিয়াকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শহিদুল ইসলাম শিপনের বড় ভাই ফিরোজ কবির মাসুদ বুধবার রাত ৯টার দিকে ধাপেরহাট বন্দরের মিলন লাইব্রেরীতে বসে ছিলেন। এ সময় ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রচি মণ্ডল টারজান মাসুদকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ খবর পেয়ে মাসুদের ছোট ভাই জাহিদ হাসান সেলিম ঘটনাস্থলে এলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখনকার মত থেমে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে টারজান ও তার ছোট ভাই আল-মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন ও অসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তথ্য কেন্দ্রে থাকা চেয়ারম্যান শিপন ও তার ছোট ভাই সেলিম, গ্রাম পুলিশ মান্নান মিয়া ও রঞ্জু মিয়া তাদের বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
ধাপেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।